◆ প্রায় ১০ বিঘাজুড়ে এলাকাকে ‘জুবিনক্ষেত্ৰ’ নামে নামকরণ জুবিন গার্গের সমাধিক্ষেত্ৰের নাম
গুয়াহাটি : বৰ্ণিল জীবনের পরিক্ৰমান্তে, লক্ষ লক্ষ অনুরাগীকে কাঁদিয়ে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন অসমের হৃদস্পন্দন ‘যুগনায়ক’ জুবিন গার্গ। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মৰ্যাদায় শেষ বিদায় দেওয়া হয়েছে দুরন্ত বহুমুখী প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী, যুবপ্রজন্মের হার্টথ্রবকে। বিদায়কালে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে প্রয়াতকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে আসাম পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০:৫৫ মিনিটে গুয়াহাটির উপকণ্ঠ সোনাপুরের কমারকুচিতে রাজ্যের সম্পদ সাংস্কৃতিক আইকন, নবপ্রজন্মের কণ্ঠস্বর জুবিন গার্গকে তোলা হয় অগ্নিদেবতার কোলে। নবনির্মিত সুসজ্জিত শ্বেত চন্দনের চিতায় শায়িত প্রয়াতের মুখাগ্নি করেছেন তাঁর ছোট বোন পামি বড়ঠাকুর এবং রাহুল গৌতম শৰ্মা। সহযোগিতা করেছেন অরুণ গাৰ্গ এবং রিতুপ্রয়াগ গাৰ্গ। সৎকার কৰ্মী হিসেবে ছিলেন ধৃতিমালা ডেকা ও জয়ন্ত বরুয়া। সহযোগিতায় ছিলেন ললিত নাথ এবং হিরণ্য দাস।
প্রাণের শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রয়াতের বাবা মোহিনীমোহন (কপিল) বড়ঠাকুর, প্রয়াতের পত্নী গরিমা শইকিয়া গার্গ, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা, অরুণাচল প্রদেশ সরকারের প্রতিনিধি, জনপ্রিয় শিল্পী জেপি দাস, অঙ্গরাগ পাপন মহন্ত, অভিনেতা যতীন বরা, জুবলি, বিপিন চাউদাং, জুবিনের বাদ্যসঙ্গী রাজা বরুয়া, কৈলাশ সহ বহু কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্ৰী সহ শিল্পী-কলা-কুশলী। শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন অসম সাহিত্য সভা, সারা অসম ছাত্র সংস্থার প্রতিনিধি, অসম জাতীয় যুবপরিষদের প্রতিনিধি, তাই আহোম ছাত্র সংস্থার প্রতিনিধি, জুবিন গাৰ্গ ফ্যান্স ক্লাবের বহুজন, তিওয়া, কারবি সমাজ, কারবি ছাত্র সংস্থা। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর সব মন্ত্রী ও বিধায়ক।
অশ্রুসিক্ত নয়নে লক্ষ লক্ষ অনুরাগী তাঁদের প্রাণের শিল্পী জুবিন গাৰ্গকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। শ্মশানে তখন সকলের মুখে গুঞ্জরিত হচ্ছিল জুবিনের রচিত ও সুরারোপিত ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত…’, ‘এই মায়ার ধরাত…’।
মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মার ঘোষণা, প্রায় ১০ বিঘাজুড়ে এলাকাকে ‘জুবিনক্ষেত্ৰ’ নামে নামকরণ হয়েছে জুবিন গার্গের সমাধিক্ষেত্ৰের নাম।

