দিল্লির আবগারি নীতি মামলার নয়া মোড়। শুক্রবার ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলের সাংসদ শ্রীনিভাসুলু রেড্ডির ছেলে রাঘব মাগুন্তা রেড্ডিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় চলতি সপ্তাহে তিন জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে সাংসদের ছেলের প্রধান ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। খুচরো মদ বিক্রেতা, পাইকারি বিক্রেতা এবং মদ প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে সাংসদ পুত্র রাঘব মাগুন্তা রেড্ডি অতিরিক্ত সুবিধে আদায় করেছিল বলে ইডির সন্দেহ। এই নিয়ে দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। কয়েকদিন আগে এই মামলায় পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপ মালহোত্রার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চ্যারিয়ট প্রোডাকশন মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার মালিক রাজেশ যোশীকে। আবগারি মামলায় ইডি এখনও পর্যন্ত দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে বলে সূত্রে খবর।
এদিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তেলেঙ্গনার মুখ্য কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কবিতার। কয়েকদিন আগে দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআই গ্রেপ্তার করে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টকে। ধৃত ওই ব্যক্তি একসময় তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের অধীনে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। প্রসঙ্গত, গত বছর দিল্লি আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের নতুন আবগারি নীতি বলে দাবি করা হয়।
এরপরই সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত জন্য দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার কাছে আবেদন জানায় বিজেপি। এরপরেই উপরাজ্যপালের সুপারিশেই তদন্তের ভার হাতে নেয় সিবিআই ও ইডি। দুর্নীতিতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জড়িত বলে সরাসরি অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই। সিসোদিয়ার বাড়ি ও ব্যাঙ্ক লকারেও তল্লাশি চালানো হয়। যদিও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে সিবিআই ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন মণীশ সিসোদিয়া। পরে নতুন আবগারি নীতি প্রত্যাহার করে দিল্লির সরকার। তবে, এই মামলায় ওয়াইএসআর কংগ্রেস সাংসদের ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ায় তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।