সম্পর্কের টানাপোড়েনে চরম পদক্ষেপ যুবকের। মৃত যুবকের নাম সৌম্যদীপ সাহা। বাগুইআটির এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধল রহস্য। কারণ, মৃতের পরিবারের তরফে যুবককে মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে পরিবারের তরফে এও সন্দেহ করা হচ্ছে, যুবককে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরেও ফেলে দেওয়া হতে পারে।
সূত্রে খবর, প্রেমের সম্পর্কে জটিলতার জেরে নিজের পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে যুবকের বাড়ি হাজির হন এক যুবতী। অভিযোগ, যুবকের পরিবারকে দ্রুত বিয়ের দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক অপমানও করা হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন যুবক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাগুইআটি পূর্বাশার বাসিন্দা সৌম্যদীপ সাহার বাগুইআটির অশ্বিনীনগর এলাকার বাসিন্দা দিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে হঠাৎ-ই এই সম্পর্ক থেকে সরে আসেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরে মা, বন্ধু ও পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে সৌম্যদীপের বাড়ি পৌঁছে যান প্রেমিকা দিয়া। এদিকে এ খবরও মিলেছে, সম্প্রতি নতুন চাকরিতে যোগ দেন সৌম্যদীপ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ঝামেলা করেন করেন দিয়া। তাঁর পরিবারের লোকজন সৌম্যদীপকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এমনকী যুবকের মা-বাবাকেও ব্যাপক অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে প্রচুর বাকবিতণ্ডাও হয় দু পক্ষের মধ্যে। ঘটনা এতটাই বড় আকার নেয় যে, রীতিমতো পাড়ার লোক জড়ো হয়ে যায় সৌম্যদীপের বাড়ির আশপাশে। অভিযোগ, চলে যাওয়ার আগে প্রেমিকা দিয়ার মা সৌম্যকে বিয়ে না করলে হাজতবাস করানোর হুমকিও দেন। দাবি, এতেই ব্যাপক অপমানিত বোধ করেন সৌম্য। প্রেমিকা ও দিুয়ায় বাড়ির লোক বাড়ি ছাড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন সৌম্য। দ্রুত সৌম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাগুইআটির ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানেই চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই দিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় সৌম্যদীপের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে সৌম্যদীপের মৃতদেহ হাসপাতালে আনার পর সেখান থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাগুইআটি পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অটোপসি রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।