কলকাতা: ছাদে ঘোরাফেরা অভ্যেস ছিল। ফলে, বাড়ির মেয়ের ছাদে যাওয়াটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি কারও কাছেই। কিন্তু বিপদ ঘটল মঙ্গলবার সন্ধেয়। হঠাত ভারী কিছু পড়ার শব্দে দেখা যায়, বাড়ির নীচে রক্ত। পড়ে রয়েছেন বাড়ির মেয়ে বছর চব্বিশের সৌহার্দ্রী দত্ত।দ্রুত নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলেও বুধবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর।ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলার ৩০ নম্বর দৌলতপুর এলাকায় ।
বহুতল আবাসনের নীচ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এটা দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা। নাকি অন্য কোনও কারণ আছে? দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলার একটি আবাসনে বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকতেন সৌহার্দ্রী। বাড়ির ছাদে মাঝেমধ্যেই যেতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও যান। তাতে সন্দেহ হয়নি পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আচমকাই তাঁরা ঝুপ করে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। তারপর গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণী পড়ে রয়েছেন।ততক্ষণে খবর পাননি তাঁর বাড়ির সদস্যরা। প্রতিবেশীরাই খবর দেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বজবজের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। বুধবার ভোররাতে নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় তরুণীর।
পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রেমঘটিত কোনও কারণে এই ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।