News Update : খালপাড় থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণ-তরুণী; জল থেকে উদ্ধার একজনের দেহ, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া জারি

কলকাতা : আনন্দপুর থানা এলাকার চিনা মন্দির সংলগ্ন খালপাড় থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তরুণ এবং তরুণীর সন্ধানে মঙ্গলবারও ডুবুরি ওই খালে নামিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালানো হয়। সেই কান্ডেই এবার নয়া মোড়। মঙ্গলবার খালে তল্লাশি চালানোর সময়ে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই ব্যক্তির কী পরিচয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি সোমবার রাতে নিখোঁজ হওয়া তরুণ রোহিত আগরওয়ালের কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। দেহটির শনাক্তকরণের পরেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকেই ডুবুরি নামিয়ে ওই খালে নিখোঁজ রোহিত আগরওয়াল এবং তাঁর সঙ্গে থাকা রনিতা বৈদ্যের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। রনিতার এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চলছে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে চিনা মন্দির সংলগ্ন ওই খালপাড় ধরে তরুণ এবং তরুণী স্কুটি চড়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলের কাছে এসে তাঁদের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে বচসা বাধে। এর পরে দু’জনেই খালের দিকে এগিয়ে যান। তার পর থেকেই তাঁদের খোঁজ নেই। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই স্কুটি এবং তরুণীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। তরুণের ফোন বন্ধ। রাতেই কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। তরুণ এবং তরুণী আনন্দপুর থানা এলাকার পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজনের দাবি, রাস্তায় দু’জনের মধ্যে বচসা ও মারামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর পরেই খালপাড়ে ওই স্কুটিটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে এই যুবক-যুবতী আনন্দপুর থানার খালপাড় এলাকায় স্কুটি চালানো শিখছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায়দিন একই সময়ে ওই এলাকায় যেতেন। গতকালও গিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না। স্থানীয়রা ওই যুবক যুবতীর স্কুটি এবং মোবাইল এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন আনন্দপুর থানায়। পুলিশ স্কুটি এবং মোবাইল উদ্ধার করে। শুরু হয় তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 10 =