নয়াদিল্লি : এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রীতিমত তোপের মুখে পড়তে হয়। তিনি এসএসসির উদ্দেশে বলেন, “অন্যের হাতে তথ্য তুলে দিলেন। নিজেদের হাতে রাখলেন না? কী ভাবে এটা করতে পারলেন? আপনারাও কারচুপি করেছেন। পঙ্কজ বনসল যে কারচুপি করেছে তা জানা গিয়েছে। সমস্যা আপনাদের নিয়ে।”
এসএসসি-র আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “২৬ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিছু নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু পুরো নিয়োগে নয়। ধাপে ধাপে পরীক্ষা হয়েছে। তাই সব ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব ছিল না। ২০২১ সাল পর্যন্ত কোনও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়নি।”
কিন্তু এসএসসির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কোন কোন ওএমআর শিটের তথ্য ক্যাপচার করা হয়েছে?
শুনানির একটি পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল কি না, নষ্ট করলেও তা কত দিনের মধ্যে করার নিয়ম রয়েছে। রাজ্য জানায়, এক বছর পরে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। রাজ্য আরও জানায়, ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ করে রেখেছে এসএসসি।
তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সাধারণ ভাবে এটা সঠিক নয়।” একই সঙ্গে রাজ্যের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। এসএসসি করেনি। তারা দায়িত্ব দিয়েছিল নাইসাকে। তারাও করেনি। নাইসা আবার স্ক্যানটেককে দায়িত্ব দেয়। তারাও সংরক্ষণ করেনি। স্ক্যানটেক স্ক্যান করেই ছেড়ে দিয়েছিল।”