চেন্নাই সুপার কিংসের টার্গেট তাড়া করা রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে কঠিন কাজ হবে না, সেটা জানা ছিল। কিন্তু শুরুতেই জস বাটলার ফিরে গেলেন ২ করে। কিন্তু তাতে ভয় পেয়ে যায়নি রাজস্থান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (১৫), দেবদত্ত (৩), হেটমায়ার (৬) ফিরে গেলেও অশ্বিন লড়াকু অশ্বিন এবং রিয়ান পরাগ মিলে লড়াই জারি রেখেছিলন।
এই দুজন যতক্ষণ ছিলেন আশা ছিল রাজস্থানের। শেষ দুই ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। অশ্বিন দুরন্ত ছক্কা মারলেন মুকেশ চৌধুরীকে। বুঝিয়ে দিলেন তাকে এই ফরম্যাটে ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেলে দেওয়ার নয়। নিজের শহরের দলের বিরুদ্ধে অশ্বিন আজ অনেক কিছু প্রমাণ করলেন। পঞ্চদশ আইপিএল-এর শেষ ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং লাইন।
আইপিএল ২০২২-এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একমাত্র মঈন আলি ছাড়া চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে। ইংল্যান্ডের বোলিং অলরাউন্ডার মঈন আলি এবং কিছুটা দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া কেউই এ দিন ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৭ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন মঈন। ৫৭ বলে ৯৩ রানের ইনিংস আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে এ দিন রাজস্থানের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও শুরুটা প্রত্যাশা মত করতে পারেনি চেন্নাই। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋতুরাজ গায়েকোয়াড়।
এই অবস্থায় ফাস্ট ডাউন মঈন আলি দলের ইনিংসকে ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে তাঁর সঙ্গে থাকলেও খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত ১৬ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কিন্তু মিডল অর্ডারের এই ব্যাটসম্যানও শেষ ম্যাচে ভরসা দিতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
৯৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া সিএকে’কে কিছুটা স্থিতি প্রদান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান করেন তিনি। ১৯ ওভারের শেষ বলে ধোনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মঈন আলি পাল্টা আঘাত রাজস্থানের বোলারদের উপর না করলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত সিএসকে’র ইনিংস। তাঁর ৯৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১৩টি চার এবং ৩টি ছয়ের সৌজন্য়ে। মঈন আউট হন শেষ ওভারের প্রথম বলে। একমাত্র তাঁর কারণে ১৫০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস। রাজস্থানের হয়ে এই ম্যাচে দু’টি করে উইকেট পান ওবেদ ম্যাকয় এবং যুজবেন্দ্র চাহাল।
একটি করে উইকেট পান ট্রেন্ট বোল্ট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই ম্যাচে জিততে পারলে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থান প্রায় কনফার্ম করে ফেলবে সঞ্জু স্যামসনের দল। তবে দিনের শেষে ২৩ বলে ৪০ করে একাই পার্থক্য গড়ে দিলেন অশ্বিন।