টেস্টের প্রথম দিন সবচেয়ে রান করলেন যশস্বী। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৫৬ নট আউট করেছিলেন বিরাট কোহলি। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মার ছিল ১৬১। দুই সুপারস্টারকে টপকে ২২ বছরেই ১৭৯ রানের দুরন্ত পারফরম্যান্স। দিনের শেষে নট আউটও আছেন। ২৫৭ বল খেলে ১৭৯ নট আউট করেছেন। স্ট্রাইকরেট ৭০। কিন্তু স্পিনের বিরুদ্ধে অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলেন। ইংল্যান্ডের স্পিনারদের বিরুদ্ধে ৮১ স্ট্রাইকরেট ছিল যশস্বীর। কমেন্ট্রিতে পার্থিব প্যাটেল বলছিলেন, ‘শটের নিয়ন্ত্রণ এত ভালো যে, খুব সহজে যে কোনও বল সামলাতে পারছে। ড্রাইভের ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্য থাকাটা দরকার। যশস্বী কিন্তু ব্যালান্স ধরে রেখে নিজের ইনিংসটা খেলে গিয়েছে।’ এক দিকে তিনি যখন খেলে যাচ্ছেন, উল্টে দিকে একের পর এক উইকেট পড়েছে। রোহিত (১৪), শুভমন গিল (৩৪), শ্রেয়স আইয়ার (২৭), রজত পাতিদার (৩২), অক্ষর প্যাটেল (২৭), শ্রীকর ভরত (১৭) কেউই টিমকে বেশি দূর টানতে পারেননি। কিন্তু যশস্বীকে থামানো যায়নি। দিনের শেষে ৩৩৬-৬ তোলার পিছনেও যশস্বীর ইনিংস। দিনের শুরুটা দুটো টিমের কাছেই ধীরে চলো নীতি ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে যশস্বী পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন। তৃতীয় সেশন আবার ইংল্যান্ডের। প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে, শুভমন, শ্রেয়সরা আর কবে খেলবেন? দুই ক্রিকেটারই আবার ব্যর্থ। অভিষেক হওয়া রজতের আউটটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু অক্ষর, শ্রীকররা কেন ধৈর্য দেখাবেন না? লেগস্পিনার রেহান আহমেদ, অভিষেক হওয়া শোয়েব বশির নিয়েছেন দুটো করে উইকেট। ৪২ বছরের জেমস অ্যান্ডারসনও নিয়ে গেলেন একটা উইকেট। ম্যাচের শেষ যশস্বী কিন্তু বলে গেলেন, ‘ঠিক করেছিলাম, মারার বল পেলে তবেই মারব। শেষ পর্যন্ত থাকার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কাল নামব আবার। ডাবল সেঞ্চুরির জন্য় চেষ্টা করব।’ যশস্বীর দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে ভারত। বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডকে হারাতে হলে বড় রান চাই।