যশস্বী ৯৮ করেও একাই একশো, তুলোধোনা করে কলকাতাকে হারালো রাজস্থান

বোর্ডে মাত্র ১৪৯ রান। কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানার সিদ্ধান্ত অবাক করার মতোই। দেখে মনে হয়েছিল, পেসার হর্ষিত রানাকে দিয়ে বোলিং ওপেন করাবেন। হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে নিজেই বোলিং ওপেন করেন। প্রথম ওভারেই কলকাতার আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিলেন জয়সোয়াল। নীতীশ রানার ওভারে তুললেন ২৬ রান! এই পিচে স্পিনাররা সাহায্য পাবেন নিশ্চিত। কিন্তু কেকেআরের ঝুলিতে যা রান ছিল, তাতে পাওয়ার প্লে-তে ভালো কিছুর প্রয়োজন ছিল। প্রথম ওভারে ২৬ রান আসায় অনেকটাই এগিয়ে যায় রাজস্থান।  রাজস্থানের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কাছে বড্ড ফিকে দেখাল কেকেআরের ফিল্ডিং। প্রথম ২ ওভারেই বোর্ডে ৪০ রান। দ্বিতীয় ওভারে রাসেলের ডিরেক্ট থ্রো-তে জস বাটলার রান আউট হলেও অ্যাডভান্টেজ ছিল রাজস্থায় রয়্যালসই। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। হেটমায়ার যেমন বাউন্ডারি লাইনে চোখ ধাঁধানো একটা ক্যাচ নিলেন, তেমনই গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত। কেকেআরের অন্তত ১৫-২০ রান কম হওয়ার অন্যতম কারণ রাজস্থানের অনবদ্য ফিল্ডিং। কলকাতার ফিল্ডিং হল তার ঠিক উল্টো। বোলিংয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল রেকর্ড করলেন। ব্যাটিংয়ে রাজস্থানের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান এই ওপেনার। ক্রমশ কেকেআরের হাত থেকে ম্যাচ বেরোতে থাকে। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে দু-দলের কাছেই মরণ বাঁচন ম্যাচ ছিল। কেকেআরের ব্যাটিং দেখে তা মনে হয়নি। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ২৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে বাটলারের উইকেট হারালেও আগ্রাসী ব্যাটিং ছাড়েননি যশস্বী। ক্রিজে যোগ দেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থানের বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বীর ব্যাটিং তাণ্ডবে মনে হয়েছিল, ১০ ওভারেই হয়তো লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে রাজস্থান রয়্যালস। শেষ দিকে মাত্র ৩ রান বাকি। ওভার বাউন্ডারি মারতে মারলে সেঞ্চুরি পূর্ণ হত যশস্বীর। অল্পের জন্য আইপিএল কেরিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এল না যশস্বীর। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করলেন। ৪৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত যশস্বী। ৪১ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে জয় রাজস্থান রয়্যালসের।
ছবি: অদিতি সাহা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 9 =