ভারতীয় ক্রিকেটে যে কোনও তরুণের কাছেই অন্যতম আদর্শ সচিন তেন্ডুলকর। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্যারিবিয়ান সফরে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়া যশস্বী জয়সওয়ালের কাছেও তাই। রাহুল দ্রাবিড়কেও একইরকম শ্রদ্ধা করেন। তাঁর মন্তব্যকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলেছেন যশস্বী। কী সেই বার্তা? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে খোলসা করলেন ভারতের তরুণ তুর্কি যশস্বী। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে মারকাটারি পারফর্ম করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। তার আগে ইরানি ট্রফিতেও বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে স্ট্যান্ড বাই স্কোয়াডে ছিলেন যশস্বী। এ বার মূল স্কোয়াড। সব কিছু ঠিক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেক হতে পারে। ভারতের অন্যান্য তরুণ ক্রিকেটারের মতো ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে সমস্যা হলে তিনিও দ্রাবিড়ের শরণাপন্ন হন। যশস্বী বলেন, ‘টেস্ট টিমে জায়গা পাওয়ার পরই দ্রাবিড় স্যারের থেকে মেসেজ পেয়েছি। আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দ্রাবিড় স্যার।’ দ্রাবিড়ের বার্তা এই প্রথম নয়। পুরনো সেই দিনের কথাও উঠে এল যশস্বীর কথায়। ভারতের যুব দলের কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধানও। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দ্রাবিড়ের থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন যশস্বী। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ করে নিয়েছিলেন। সেই বিশ্বকাপে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন যশস্বী। ১৩৩-এর বেশি গড়ে করেছিলেন ৪০০ রান। তিনটি উইকেটও নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে কী বলেছিলেন দ্রাবিড়? যশস্বীর কথায়, ‘দ্রাবিড় স্যারের সঙ্গে অনেক বিশয়েই আলোচনা হয়ে থাকে। তবে তাঁর যে পরামর্শ আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছিল, তিনি বলেছিলেন, একটা সময় একটা ডেলিভারি নিয়েই ভাবতে। দ্রাবিড় স্যারের এই বার্তাই মূল মন্ত্র করেছি। তিনি সবসময় বলেন, প্রতিটা ডেলিভারি সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শেই আমার খেলায় এত উন্নতি হয়েছে।’