প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। জল্পনায় সিলমোহর দিয়েই ত্রিপুরা ক্রিকেটে সই করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ক্রিকেটারের পাশাপাশি মেন্টরের ভূমিকাতেও দেখা যাবে ভারতীয় উইকেটকিপারকে। সই করেই ত্রিপুরা ক্রিকেটের খুঁটিনাটি খবর নিতে শুরু করে দিয়েছেন।
গত শনিবারই বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে গিয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট তুলেছিলেন ঋদ্ধি। বাংলা দলকে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েই ছেড়েছিলেন বাংলা। জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ঠিকঠাক করে ফেললেন ঋদ্ধি। বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা হলেও তাঁকে নেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রিপুরার পাল্লাই যে ভারী, সে ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার সরকারি ভাবে পড়শি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থায় নাম লেখালেন ঋদ্ধি।
এদিন চুক্তিতে সই করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটার জানিয়ে দেন, আসন্ন মরশুমে ত্রিপুরার হয়ে খেলবেন তিনি। তার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি করে দেবেন। তবে শুধু ক্রিকেটার নয়, মেন্টর হিসেবেও বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁকে। ঋদ্ধিমানের কথায়, “এখন থেকেই খুঁটিনাটি খোঁজ নিচ্ছি। আমার উদ্দেশ্য থাকবে, ধাপে ধাপে ত্রিপুরার ক্রিকেটের উন্নতি করা। সেই সঙ্গে উঠতি ক্রিকেটাররা যাতে আরও সুযোগ পায়, সেদিকে নজর দেওয়া।” ভারতীয় দলে ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, প্রত্যেকেরই তো জাতীয় দলে খেলার আশা থাকে। রাহুল দ্রাবিড় নিজের মতো করে দল সাজাচ্ছেন। তিনি যা ভাল বুঝবেন, সেটাই করবেন।
উল্লেখ্য, সিএবি’র সঙ্গে সম্পর্কে চিড়টা অনেকদিন আগেই ধরেছিল। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য কমার বদলে বেড়েই গিয়েছিল দিনে দিনে। একেবারে শেষের দিকে তাঁর জিজ্ঞেস না করে রনজি দলের নকআউট দলে রাখা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ঋদ্ধি। যার জেরে বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কর্তারা তাঁকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও বরফ গলেনি। এবার ত্রিপুরার প্রতিনিধিত্ব করবেন এককালে বাংলা দলের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা।