জুনের মাঝামাঝিতেই সিএবিতে গিয়ে এনওসি নিয়ে নেবেন ঋদ্ধিমান সাহা। রবিবার তিনি ঘুরতে যাচ্ছেন। ফিরে এসেই সিএবিতে যাবেন এনওসি নিতে। অন্তত সেরকমই শোনা গেল। ঋদ্ধিমান সিএবি কর্তাদের তাঁর বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীদের একের পর এক পোস্ট। সবার একটাই অনুরাধ-ঋদ্ধি যেন বাংলা ছেড়ে না যান।
মুশকিল হল, বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুন না কেন, সিএবি কর্তারা ঋদ্ধিকে আটকানোর ব্যাপারে কতটা আন্তরিক তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এটা ঠিক যে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বাংলা না ছাড়ার জন্য ঋদ্ধিকে অনুরোধ করেছিলেন। একইভাবে ঋদ্ধিও পালটা অনুরোধ করেছিলেন। ঋদ্ধি বলেছিলেন, তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেটা তাঁকে প্রচণ্ড আঘাত করে। তাই এটা নিয়ে যেন সিএবি কিছু ভাবনা-চিন্তা করে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে যুগ্ম সচিব যা বলেছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। সিএবির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সংস্থার প্রেসিডেন্টই সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তা। তাই তিনি যেখানে অনুরোধ করেছেন, তখন ঋদ্ধির খেলা উচিত ছিল। প্রেসিডেন্টের চেয়ারকে সম্মান জানানো উচিত ছিল।
পালটা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ঋদ্ধির ঘনিষ্ঠমহল থেকে-বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাই যদি সবচেয়ে বেশি হয়, তাহলে কেন তিনি যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? কেনই বা সিএবির তরফ থেকে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে বলা হল না-যে যুগ্ম সচিব যা বলেছেন, সেটা সিএবির বক্তব্য নয়। সিএবি তা সমর্থন করে না। এটাও বলা হল-সম্মানরক্ষার দায়িত্ব কি শুধু ক্রিকেটারদের? কর্তাদের কোনও দায়ভার কিছুই নেই? তাঁরা যা কিছু প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারেন? ক্রিকেটারদের অপমান করতে পারেন? এমনকী রনজির কোয়ার্টার ফাইনালের আগে মহম্মদ শামিকে ফোন করতে পারেন সিএবি কর্তারা, কিন্তু ঋদ্ধিকে ফোন করতে পারেন না। ঋদ্ধি যদি বাংলা ছেড়ে দেয়, সেটা সিএবির কাছে চরম লজ্জার হবে, সেটা বুঝতে পেরেই তাঁকে রাখার চেষ্টা শুরু হয়। ঋদ্ধির স্টান্স বদলায়নি। সিএবিতেও এটা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।
সিএবির এক কর্তা (যিনি একটা সময় বাংলা টিমের ম্যানেজার হয়ে গিয়েছিলেন) বুঝে উঠতে পারছেন না যে কী করে, ভারতীয় উইকেটকিপার নিয়ে এরকম কথা বলা হতে পারে। ওই কর্তার কথায় ওই সফরগুলো তিনি ঋদ্ধিকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। ঋদ্ধির মতো এত ভাল ছেলে আর হয় না। তাই যেভাবে দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেটা স্রেফ মেনে নেওয়া যায় না।