দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর ধানখেত থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় আদিবাসী এক দিনমজুরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো চাঁচল থানার সাঞ্জীব এলাকায়। বুধবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাবলু হেমব্রম (৫৪)। তার বাড়ি সাঞ্জীব গ্রামের দারগা পুকুর পাড়া এলাকায়। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। প্রায় দু’মাস আগে বাড়ি ফিরেছিলেন বাবলু। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে ছিলেন বাবলু হেমব্রম। তারপর আর সে বাড়িতে ফেরেনি। বাড়ির গৃহকর্তার সন্ধান পেতে কোনও জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছিল তার স্ত্রী রেখা হাঁসদা। এদিন সকালে বাড়ির পাশে ধান খেতে পড়ে থাকে তার রক্তমাখা দেহ। স্থানীয় চাষিরা ধান কাটতে গিয়ে দেখেন ধান খেতে মৃতদেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মৃত ব্যক্তির শরীরের রয়েছে একাধিক ক্ষত চিহ্ন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। খুবলে নেওয়া হয়েছে কান। ধানখেতে উপুর হওয়া অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়েছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের স্ত্রী রেখা হাঁসদা বলেন, গত রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল স্বামী। গ্রামবাসীর মুখ থেকে জানতে পারি কয়েকশো মিটার দূরে স্বামীর মৃতদেহ ধানখেতের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি শনাক্ত করি। কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটল সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে জানতে পারেনি মৃতের পরিবার। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।