টিম গেম। মহমেডান স্পোর্টিং সেটাই দেখাল। ম্যাচের আগে জোড়া অস্বস্তিতে ছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। কলকাতা লিগে এ দিন টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। আগের রাতেই হেড কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হন মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নেন মেহরাজের সহকারী হিসেবে কাজ করা সইদ রমন। স্বাভাবিক ভাবেই নজর ছিল, পরিস্থিতি কী ভাবে সামলায় মহমেডান স্পোর্টিং। শুধু তাই নয়, এ মরসুমে মহমেডানের সর্বাধিক স্কোরার ডেডিভ লালহানসাঙ্গা কার্ড সমস্যায় এ ম্যাচে ছিলেন না। কিন্তু এই বাধা পেরিয়ে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ৪-০’র বড় ব্যবধানে জিতল মহমেডান স্পোর্টিং। টিম গেমেই জিতল মহমেডান। এর মধ্যেও বিশেষ করে বলতে হয় অভিজিৎ সরকারের কথা। দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন অভিজিৎ। ডেভিডের অনুপস্থিতিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন অভিজিৎ। এর মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি অনবদ্য। নীচু হওয়া বলে ফ্লাইং হেডে গোল করেন অভিজিৎ। ম্যাচের ১৫ মিনিটে একটি বল ডান পায়ে রিসিভ করে বাঁ পায়ে অনবদ্য শটে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন অভিষেক হালদার। ৩৩ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন অভিজিৎ। রেমসাঙ্গার সাজানো পাস। বক্সের মধ্যে আনমার্কড অভিজিৎ গোল করতে কোনও ভুল করেননি। প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায় মহমেডান স্পোর্টিং। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মহমেডানের লিড বাড়ান অভিজিৎ। এই গোলটিই ফ্লাইং হেডে। ৭৯ মিনিটে মহমেডানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন গণেশ বেসরা। ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের সম্ভাবনা উজ্জ্বল মহমেডানের। জোড়া গোলে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন অভিজিৎ সরকার।