প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টি ভিলেন। তবে সেটা ভারতীয় শিবিরের কাছে। বেরহায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বড় স্কোরই গড়েছিল ভারত। যদিও বৃষ্টিতে ডাকওয়ার্থ লুইস ব্যবহার করতে হয়। রিজা হেনড্রিক্স এবং ম্যাথিউ ব্রিৎজকে বিধ্বংসী শুরু করেন। পরপর উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে ভারত। শেষ দিকে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি দাঁড়ায়। মিলার আউট হতেই সাময়িক চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। আন্দিলে পেখলুকায়ো ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন। ৫ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এডেন মার্কর্যামের। এর নেপথ্যে পরিষ্কার কারণ। বৃষ্টির কারণে পিচ ঢাকা ছিল। ফলে শুরুর দিকে পেসাররা সহায়তা পাবেন। টসে যদিও ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেছিলেন, প্রথমে ব্যাট করতে কোনও সমস্যা নেই তাঁদের। প্রথম ওভারেই যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারায় ভারত। পিচে অসমান বাউন্সে সমস্যায় পড়েন ব্যাটাররা। লিজাড উইলিয়ামসের ডেলিভারি শুভমন গিলের হাঁটুর নীচে লাগে। লেগ বিফোর হন শুভমন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভারতের দুই ওপেনারই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
শ্রেয়সের মতো তারকা ক্রিকেটারের জায়গায় তিনে ভরসা রাখা হয় তরুণ তিলক ভার্মার ওপর। তিনে পাঠানো হয় তাঁকে। শুরুটা ভালো হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন রিঙ্কু সিং। যদিও তাঁর মনসংযোগে সমস্যা করেছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। তাঁকে লেগ বিফোর আউট দেওয়া হয়। রিভিউ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। অধিনায়ক সূর্যর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন, সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয়। এরপর রিঙ্কুকে আর থামানো যায়নি। বৃষ্টির কারণে ১৯.৩ ওভারেই ভারতের ইনিংস সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৩৯ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস রিঙ্কুর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম হাফসেঞ্চুরি।
হাফসেঞ্চুরি করেন সূর্যকুমার যাদবও। প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হয় ভারতের স্কোর ছিল ১৯.৩ ওভারে ১৮০-৭। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হয়। ডাকওয়ার্থ লুইসে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২ রান।