সংসদের পুরনো ভবনকে বিদায় জানিয়ে মঙ্গলবার নতুন ভবনে প্রথম অধিবেশন শুরু হল। অধিবেশনের শুরুতে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর পেশ করা হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন। বিল পেশের সময় হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীদের।ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, লোকসভা নির্বাচনের আগে মহিলা ভোটারদের মন জয় করতেই এই বিল পাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
নারী সংরক্ষণ বিল পেশের আগেই তরজা শুরু হল লোকসভায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এর আগে চেষ্টা হলেও সংসদে এই বিল পাশ করানো যায়নি। তাই নতুন করে এই বিল আনা হবে লোকসভায়। নাম দেওয়া হবে ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’।
তবে মোদির এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। তাঁর দাবি, রাজীব গান্ধির আমলেই মহিলাদের জন্য এমন বিল আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি এখন এই বিল সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে বেশ কয়েকবার এই বিল পেশ করা হয়। কিন্তু যথেষ্ট সমর্থনের অভাবে পাশ করানো যায়নি এই বিল। তবে আমি মনে করি ভগবান আমাকেই বেছে নিয়েছেন এই বিলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’ জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে মহিলা সংরক্ষণ বিল।
তবে এই বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বেশ কয়েকবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে হাতে সংবিধান নিয়ে উপস্থিত হন অধীর। তাঁর মতে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তবে দুপুরের পর হট্টগোলের মধ্যে অধিবেশন দিনের মত মুলতুবি হয়ে যায়।