মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে আইসিসির ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আইসিসি টুর্নামেন্টে মহিলা টিমগুলিও এবার পুরুষদের সমান পুরস্কার মূল্য পাবে। আইসিসি ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট টিমের সমান পুরস্কার মূল্য দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে আইসিসি ঘোষণা করেছে, এ বার থেকে পুরস্কার মূল্যে থাকবে না লিঙ্গ বৈষম্য। সবরকম আইসিসি ইভেন্টে একই পুরস্কার মূল্য পাবে প্রতিটি দেশের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট টিম। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ টুইট করে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আইসিসি টুর্নামেন্টে পুরস্কার মূল্যে সমতা আনার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে আয়োজিত আইসিসির বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়েছে। আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটের ইতিহাসে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত। আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটাদের এ বার থেকে সমানভাবে পুরস্কৃত করা হবে। এটা ঘোষণা করতেই ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।” বার্কলে আরও বলেছেন, “২০১৭ সালের পর মহিলা ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেছি। প্রতিবছরই মহিলাদের টুর্নামেন্টের পুরস্কার মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী টিম পুরুষদের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের সমান পুরস্কার পাবে। টি-২০ বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম থাকবে।” আইসিসি ইভেন্টে মহিলা পুরুষদের দলের পুরস্কার মূল্যে বড়সড় পার্থক্য ছিল। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পেয়েছিল ২৮.৪ কোটি টাকার প্রাইজ মানি। রানার্স টিম নিউজিল্যান্ড পেয়েছিল ১৪.২ কোটি টাকা। ২০২২ সালে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ী টিম পেয়েছে মাত্র ৯.৯৮ কোটি টাকা। রানার্স ঝুলিতে গিয়েছে ৪.৫৩ কোটি টাকা। তাই আইসিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে মহিলা ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক। টি-২০ বিশ্বকাপে বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ৮.২৭ কোটি টাকা। রানার্স টিম পায় ৪.১৩ কোটি টাকা। সেমিফাইনালে ওঠা দলগুলি পায় ১.৭৩ কোটি টাকা। এভাবে পুরো টুর্নামেন্টে ২০.২৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা ছিল।