নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: জঙ্গলে ছাতু কুড়োতে গিয়ে অজানা হিংস্র জন্তুর আক্রমণে গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। গ্রামবাসীদের দাবি, হায়নার আক্রমণ করেছিল। যদিও বন দপ্তরের দাবি, আক্রমণ করেছে শেয়াল।
দিনের আলোয় জঙ্গলে ছাতু (মাসরুম) কুড়োতে গিয়ে হিংস্র জন্তুর হানায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। আহত মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলার ওপর হামলা চালিয়েছে একটি হায়না। যদিও বন দপ্তরের দাবি, একটি আহত শেয়ালের হানাতে জখম হয়েছেন ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকাল ন’টা নাগাদ বাঁকুড়ার তালডাংরা রেঞ্জের ফকিরডাঙার জঙ্গলে ছাতু (মাসরুম) কুড়োতে যান স্থানীয় বাসিন্দা বছর ষাটেকের আরতি লায়েক। সে সময় জঙ্গলের ভেতর তাঁর ওপর হামলা চালায় একটি হিংস্র জন্তু। জন্তুটির নখ ও দাঁতের আঘাতে মহিলা ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন। সেই চিৎকার শুনে স্থানীয় পথচলতি মানুষ জঙ্গলে গেলে জন্তুটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আহত আরতি লায়েককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় পরে তাঁকে রেফার করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
এদিকে, এই আক্রমণের এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের ধারণা, যে জন্তুটি এভাবে আক্রমণ চালিয়েছে সেটি আসলে হায়না। যদিও বন দপ্তর তা মানতে নারাজ। বন দপ্তরের দাবি, জন্তুটি আসলে একটি ভারতীয় প্রজাতির শেয়াল। শেয়ালটির শরীরে আঘাত থাকায় যন্ত্রণায় এইভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে তারা।