চাপ বাড়ল ব্রাজিলের (Brazil) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর (Jair Bolsonaro) উপরে। ব্রাজিলজুড়ে তাণ্ডবের কারণে যে তদন্ত হচ্ছে তাতে বলসোনারোর নামও রয়েছে। সেখানকার সুপ্রিম কোর্ট এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে হার মেনে নিতে না পেরে ব্রাজিলের একাধিক প্রশাসনিক ভবনে তাণ্ডব চালায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অনুগামীরা।
জানা যাচ্ছে, প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ের তরফে আরজি জানানো হয়েছিল প্রাক্তন দক্ষিণপন্থী নেতাকে এই তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এরপরই এই সিদ্ধান্ত ব্রাজিলের শীর্ষ আদালতের। তবে বলসোনারো এই মুহূর্তে নিজের দেশে নেই। গত বছরের শেষ দিনেই ব্রাজিল ছেড়ে ফ্লোরিডায় পাড়ি দিয়েছিলেন এই অতি দক্ষিণপন্থী নেতা। গত সোমবার সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী মিশেলে ইন্সটাগ্রামে জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ছুরিকাহত হন বলসোনারো। তার প্রভাবেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
ব্রাজিলের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ঘটনায় তিনি খুবই চিন্তিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ব্রাজিল প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের বার্তাও দিয়েছেন। হামলার কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গণতন্ত্রের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে চাপ ক্রমেই বাড়ছিল বলসোনারোর উপরে।