নিজস্ব প্রতিবেদন, পাণ্ডবেশ্বর: কলকাতা উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে মিছিল করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মিছিলটি শুরু হয় পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে এবং র্যালি করে গিয়ে শেষ হয় পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানে একটা সভাও করা হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৬ মে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের ঠিক সময়ে বেতন প্রদান, নির্দিষ্ট রান্নার খরচ প্রতি মাসে দেওয়া, অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে সিডিপিও দপ্তরের স্মারকলিপি জমা দিতে যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর সেই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় তৃণমূলের একদল দুÜৃñত তাদের ওপর হামলা চালায় বলেই অভিযোগ ওঠে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে। এই ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন।
সেদিনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার ও পাণ্ডবেশ্বর থানায় প্রতিবাদ মিছিল করার অনুমতি চাইলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন যৌথ মঞ্চের রাজ্য নেতা ভাস্কর ঘোষ। পুলিশের অনুমতি না মেলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেখানে বিচারপতি তাদের মিছিল করার অনুমতি দেন। তবে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা বজায় রেখে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সেই অনুমতি ক্রমেই সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে বেলা বারোটা থেকে তারা বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের সংগঠনের পাঁচ শতাধিকের অধিক সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পাণ্ডবেশ্বর রেলস্টেশন থেকে এই প্রতিবাদী ধিক্কার মিছিল করে পাণ্ডবেশ্বর বাজার হয়ে ফুলবাগান এরিয়া মোড় কোলিয়ারি সংলগ্ন দুর্গা মন্দিরের কাছে মঞ্চ করে সভা করে। এদিনের এই সভায় মুখ্য বক্তা ভাস্কর ঘোষ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সেদিনের সেই হামলার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সঙ্গেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। সেদিনের মঞ্চ থেকে ভাস্করবাবুর সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন ও সেদিনের হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পুলিশ যদি সেদিনের হামলার দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে গরমের ছুটি শেষ হলেই এই ঘটনা নিয়ে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।’
এদিকে প্রচণ্ড গরমে মিছিলে হাঁটার সময় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবর বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন।