মহেশ্বর চক্রবর্তী
সমাজ কল্যাণের সংকল্প নিয়ে বাড়ি থেকে সাইকেলে করে বেরিয়ে পরেছিল যুবক। সাইকেলে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন বেঁধে তৃণাঙ্কুর পাল সুদূর চন্দকোনার যাদবপুর এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে দুই মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে থানা ও পথ চলতি মানুষ এবং শহরের আধুনিক মানুষকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সচেতন হওয়ার বার্তা দেন। এরপর তিনি হুগলি জেলার বন্দর হয়ে আরামবাগ শহরের হাসপাতালে চলে আসেন। তারপর শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও থানায় এসে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করেন। জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই তৃণাঙ্কুর সাইকেল চালাতে ভালোবাসত। তাই সাইকেলকে সঙ্গী করে মানব কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা পান পরিবার ও গ্রামের প্রবীণ মানুষের কাছ থেকে। রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনার পর ডেঙ্গির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সচেতনতা গড়ে তোলা ছাড়া উপায় কিছু নেই বলে তিনি মনে করেন। এদিন দেখা যায় ডেঙ্গি মশার মডেল সেজে সাইকেলে করে পথ চলতি মানুষকে সচেতন করছেন তিনি। এই বিষয়ে তৃণাঙ্কুর পাল জানান, আমার মূল উদ্দেশ্য হল ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করা। আমি ডেঙ্গি মশা সেজেছি। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। জল জমতে দেবেন না। বাড়ির সামনে ডাবের খোলা ফেলে রাখবেন না। তাহলে ডেঙ্গি হতে পারে।