পূর্ব বর্ধমান: বারানসী থেকে বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে বিলাসবহুল জলযানে করে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস এসে পৌঁছয় কালনার মহিষমর্দিনী ঘাটে। গঙ্গা বিলাসে এসে মন্দির শহর কালনা ঘুরে দেখলেন বিদেশি পর্যটকরা। কালনা শহরের প্রাচীন রাজবাড়ি প্রাঙ্গণ, লালজি মন্দির, ১০৮ শিব মন্দির ঘুরে দেখলেন বিদেশি পর্যটকরা। জানালেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতার কথা। গঙ্গা বিলাস এই জল যানে রয়েছে ৩২ জন বিদেশি পর্যটক। এই বিদেশি পর্যটকরা এসেছেন সুইজারল্যান্ড অথবা জার্মানি থেকে, কেউ বা আছেন ইংল্যান্ডের। কালনা শহরের পুরসভা বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। তাই স্বাগত জানাতে করা হয় পাঁচটি বিশেষ তোরণ। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা কালনা শহরের ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলো ঘুরে দেখেন। কালনা শহরের প্রাচীন রাজবাড়ি, রাজার আমলের ১০৮ শিব মন্দির, গোপাল বাড়ি দেখে মুগ্ধ সকলেই। জানিয়েছেন তাদের এই অসাধারণ অভিজ্ঞতার কথা। এই প্রসঙ্গে, কালনা পুরসভার উপপুর প্রধান তপন পোড়েল জানিয়েছেন, ভারতের কৃষ্টি সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অতিথিদের আপ্যায়ন। দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের যেন কোনো আপ্যায়নের ত্রুটি না হয় সেই দিকেই নজর রয়েছে কালনা পুরসভার। পুর প্রধান আনন্দ দত্ত জানিয়েছেন, তারা এসে কালনা শহরের এই প্রাচীন নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সব মিলিয়ে বলা যায় গঙ্গা বিলাসের বিলাস বহুল সফরে। বিদেশি পর্যটকদের কালনা শহরের আসায় একদিকে যেমন খুশি কালনা শহরবাসী, পাশাপাশি পর্যটকরা মুগ্ধ হয়েছেন শহরের ইতিহাস সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেখে। প্রসঙ্গত, ৫১ দিনের এই সমুদ্রযাত্রা শেষ হবে অসমের ডিব্রুগড়ে গিয়ে। পার করবে ২৭টি নদী। ৩২০০ কিলোমিটার ‘গঙ্গা বিলাস’ ত্রুজের যাত্রাপথে প্রায় ৫০টিরও বেশি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে পর্যটকদের। মূলত, দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই গঙ্গাবিলাস যাত্রা। জানা গিয়েছে, পর্যটকরা বেশ মুগ্ধ হয়েছেন শহরের ইতিহাস সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেখে। এইভাবে বিদেশি পর্যটকরা এলে কদর বাড়বে কালনার স্থাপত্য-ভাস্কর্যগুলির। কালনাকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো সমৃদ্ধ হবে।