স্নায়ুর চাপ কাটিয়ে জয়, আক্ষেপ শুভমন গিলের!

আট পয়েন্টের ট্র্যাফিক জ্যামে গুজরাট টাইটান্সও। ২০২২ সালেই আইপিএলে অভিষেক হয় নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির। এর মধ্যে একটি টাইটান্স। অভিষেক আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন, গত বার রানার্স। এ বার ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অবশ্য মূল্যবান ২ পয়েন্ট তুলে নিল গুজরাট টাইটান্স। বোর্ডে বিশাল রানের টার্গেট না থাকলেও স্নায়ুর চাপে ভুগলেন শুভমনরা! ম্যাচ জিতেও রইল আক্ষেপ।

গুজরাট টাইটান্সের কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ছিল বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। তিনটি দলের ৮ পয়েন্ট করে রয়েছে। এর মধ্যে গুজরাট টাইটান্সও। তবে শুভমনরা এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন। আর ৮ পয়েন্টে থাকা দলগুলির মধ্যে নেট রান রেটেও পিছিয়ে শুভমনরা। সাই কিশোরের অনবদ্য বোলিংয়ে ৯৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল পঞ্জাব। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার সুযোগ হারায় টাইটান্স। শেষ অবধি ১৪২ রানে অলআউট হয় পঞ্জাব।

বোর্ডে ১৪৩ রানের টার্গেট। গুজরাট টাইটান্সের কাছে সুযোগ ছিল দ্রুত ম্যাচ ফিনিশ করে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার। যদিও ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভার অবধি। রাহুল তেওয়াটিয়া লোয়ার অর্ডারে ১৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে ম্যাচের ফলও অন্য হতে পারত। নিজের রাজ্যে ২ পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট শুভমন। আক্ষেপ, নেট রান রেট বাড়াতে না পারা।

ম্যাচ শেষে শুভমন গিল বলেন, ‘ম্যাচটা দ্রুত জিততে চেয়েছিলাম। তবে শেষ অবধি ২ পয়েন্ট পাওয়াটা স্বস্তির। ব্যাটিংয়ে নামলে নেতৃত্ব নিয়ে ভাবি না। তখন শুধু ব্যাটিংয়ের কথাই মাথায় থাকে।’ শুভমনকে ফিরিয়ে টাইটান্স শিবিরে স্নায়ুর চাপ বাড়িয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ অবধিও সেই চাপ ছিল। পঞ্জাব মরিয়া চেষ্টা করলেও টানা চার ম্যাচ হার আটকাতে পারল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =