নয় উইকেট নিলেই জয়, ইংল্যান্ডের চাই আরও ৩৩২ রান

ম্যাচের এখনও দু-দিন বাকি। এখনও ফল নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে! থাকাই স্বাভাবিক। প্রতিপক্ষ টিমের নাম ইংল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম-বেন স্টোকস জুটি দায়িত্বে আসার পর থেকে একের পর এক অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম। এই ম্যাচ অ্যাডভান্টেজ ভারত, তবে চালকের আসনে বলা যায় না। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বড় প্রাপ্তি শুভমন গিলের স্বস্তির সেঞ্চুরি। ভালো ইনিংস খেলেন অক্ষর প্যাটেলও। লোয়ার অর্ডারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটিংও ভোলার নয়।

যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৯৬-এর বড় স্কোর গড়ে ভারত। বোলিংয়ে দাপট দেখিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। হাফডজন উইকেট নেন। ২৫৩ রানেই ইংল্যান্ড অলআউট করে ভারত। প্রথম ইনিংসে একশোর বেশি লিড নিলেও চিন্তুা ছিলই ভারতীয় শিবিরে। হায়দরাবাদ টেস্টে হারের কারণেই এই চিন্তা বেড়েছে। বিশাখাপত্তনমে পরিস্থিতি হয়তো তেমন নয়। শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ করে ভারত। রোহিত-যশস্বী দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ। অভিষেক ম্যাচে নামা রজত পাতিদার করেন ৯ রান। ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার টম হার্টলি ৪ এবং তরুণ লেগ স্পিনার ৩ উইকেট নেন। শ্রেয়সের ফর্ম কিন্তু চিন্তায় রাখল ভারতকে।

সিরিজে ২-০ এগিয়ে যেতে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ৩৯৯ রান। এই রানটাকে ভারতের জন্য সুরক্ষিতই বলা যায়। তবে পুরোপুরি চালকের আসনে বলা যাবে না। ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৫০ রান। বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম ধাক্কা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। তৃতীয় দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি দু-দিন ভারতের চাই ৯ উইকেট, ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৩৩২ রান। জো রুট ব্যাট হাতে নামতে পারবেন কিনা নিশ্চয়তা নেই। আর চতুর্থ দিনের পিচে ব্যাটারদের পক্ষে শট খেলাও সহজ নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 3 =