মেগান মর্কেলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই পরিবারের পাশাপাশি ব্রিটিশ মিডিয়ার রোষানলে পড়েন রাজকুমার হ্যারি (Prince Harry)। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে রাজপরিবারের কর্তব্য ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি দেন হ্যারি-মেগান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে নিজের আত্মজীবনীতে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজকুমার হ্যারি। মেগান মার্কেলের (Meghan Markle) নিন্দা করে রাজকুমার হ্যারিকে মারধর করেছিলেন তাঁর দাদা উইলিয়াম (Prince William)। এমনকী, কলার চেপে ধরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন উইলিয়াম বলেও উল্লেখ করেছেন।
প্রিন্স হ্যারি তাঁর জীবনের না বলা অনেক কাহিনিই তুলে ধরেছেন নিজের আত্নজীবনী ‘স্পেয়ার’- এ। সেখানেই তিনি লিখেছেন তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি হয় তাঁর। প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়াম মেগান মর্কেলের উদ্দেশে ‘অত্যন্ত কঠিন’, ‘অসভ্য’ ‘সংসারে ভাঙন ধরিয়েছে’- এমন সম্ভাষণ করেন। এই মন্তব্য নিয়ে উইলিয়াম ও হ্যারির মধ্যে তুমুল বচসা হয়, উইলিয়াম হ্যারির কলার ধরে টানেন, ধাক্কা মেরে ফেলে দেন মাটিতে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনায় প্রিন্স হ্যারি আহত হন, তাঁর পিঠে গুরুতর চোট লাগে। হ্যারি লিখেছেন, ‘সবকিছু অত্যন্ত দ্রুত হয়েছিল, ও (প্রিন্স উইলিয়াম) আমার কলার ধরে টানে, গলার চেইন ছিড়ে যায়, আমায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। কুকুরের খাবারের বাটির উপরে গিয়ে আমি পড়ি, বাটি ভেঙে আমার পিঠে তার কিছু টুকরো ঢুকে যায়। হতভম্ব হয়ে কয়েক মুহূর্ত আমি মাটিতেই শুয়ে থাকি। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি।’
এখানেই শেষ নয়। হ্যারির দাবি, মারধরের কথা একেবারে অস্বীকার করেন দাদা উইলিয়াম। ওই ঘটনার রেশ কাটিয়ে ওঠার পরে উইলিয়াম বলেন, ‘আমি কিন্তু তোমাকে মারিনি।’ হ্যারির কথায়, ‘উইলিয়াম বলে, তুমিও আমাকে মার। ছোটবেলায় তো এরকম হতই।’ তবে শেষ পর্যন্ত হ্যারির মনে হয়েছিল, গোটা ঘটনায় অনুতপ্ত ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। স্ত্রী মেগানকে এই বিষয়ে কিছু না বলার আবেদনও জানান উইলিয়াম। তবে হ্যারির পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন মেগান। রাগ করার বদলে মেগান দুঃখ পেয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন হ্যারি।