মিশন বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হল না ভারতের। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে ভারতের। জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হল বাংলার বাঁ হাতি স্পিনার সাইকা ইসাকের। তেমনই সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেললেন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। উইকেটও নিলেন দু-জনেই। যদিও প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেলেন না দুই তরুণ তুর্কী। সদ্য ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অমোল মুজুমদার। শুরুতেই তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, ফিটনেস ও ফিল্ডিং নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। সেই ফিল্ডিংই প্রথম ম্যাচে ভারতের হারের অন্যতম কারণ।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। সিরিজের প্রথম ম্যাচ, রান তাড়া করে নিজেদের পরীক্ষা করে নিতে চাইছিলেন হরমনপ্রীত। যদিও লক্ষ্যটা বিশাল হয়ে দাঁড়ায়। বোলিংয়ে ভারতের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। প্রথম ওভারেই পরপর দু-বলে দু উইকেট নেন রেনুকা সিং ঠাকুর। যদিও ইংল্য়ান্ড ইনিংসে বড় জুটি গড়েন অভিজ্ঞ ন্য়াট সিবার ও ড্যানি ওয়্যাট। ভারতের ফিল্ডিংও ভালো হয়নি। ক্যাচও ফসকেছে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি ইংল্য়ান্ড। ভারতকে ১৯৮ রানারে বিশাল টার্গেট দেয় তারা।
রান তা়ড়ায় আক্রমণাত্মক শুরু প্রয়োজন ছিল ভারতের। পাওয়ার প্লে-তে ৫৩ রান উঠলেও স্মৃতি মান্ধানা ও জেমাইমা রডরিগজের উইকেট হারায় ভারতীয় দল। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও শেফালি ভার্মা জুটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। হরমনপ্রীত দ্রুতই ফেরেন। রিচা ঘোষ ও শেফালি জুটি ক্রমশ মজবুত হচ্ছিল। প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়তে থাকে। শেফালি ভার্মা হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেললেও জয়ের জন্য় তা যথেষ্ঠ ছিল না। শেষ অবধি ৩৮ রানে হার ভারতের। ফিল্ডিং ভালো হলে এত বড় টার্গেট হয়তো তাড়া করতে হত না।