নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: নরেন্দ্র মোদীর অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় ঠাঁই মেলেনি বাঁকুড়ার ঐতিহ্যের নগর বিষ্ণুপুর স্টেশনের। ডিজিটাল দুনিয়াতে দাঁড়িয়ে মোদির এই স্বপ্নের স্কিমে রাজ্যের ৩৭ স্টেশনের বদলে যাবে চেহারা, পরিবর্তন হবে আর্থ সামাজিক চিত্রের, কিন্তু যে শহরে আর্থ সামাজিক পরিবর্তন এনেছে পর্যটন শিল্প, সেই স্টেশনকে এই স্কীমের তালিকায় আনা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। যে শহরের মধ্যে মল্লরাজাদের নানান ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে, যার অলিগলিতে কান পাতলে শোনা যায় ধ্রুপদ, ধামার ও খেয়ালের সুরের মূর্ছনা, যেখানকার হস্তশিল্পের খ্যাতি বিশ্বজোড়া, যে নগরকে সকলেই চেনে টেরাকোটার শহর নামে, সারা বছর সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের নগর বিষ্ণুপুরে ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা, সেি প্রাচীন মল্লরাজাদের নগরের বিষ্ণুপুর স্টেশনের নাম পাওয়া গেল না মোদির অমৃত ভারত রেলস্টেশন স্কিমের তালিকায়।
সর্বোপরি বিষ্ণুপুর স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জগতজননী বিশ্বজননী মা সারদার স্মৃতি। বিষ্ণুপুর স্টেশন থেকে মা সারদা কলকাতা যাতায়াত করতেন। সেই স্টেশনও জায়গা পেল না মোদির অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমে। কেন এই বঞ্চনা, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিষ্ণুপুরবাসীর একাংশ। প্রশ্ন তুলেছেন কেন তালিকায় নেই বিষ্ণুপুর স্টেশনের নাম।
তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল জানান, বাঁকুড়া জেলায় দু’জন সাংসদের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সাতজন বিজেপি বিধায়ক থাকার পরেও অমৃত ভারত রেলস্টেশন স্কিমের তালিকায় নাম নেই বিষ্ণুপুরের। এটা বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের ব্যর্থতা বলেই মত তাঁরû। বিষ্ণুপুর সাংগঠনের জেলা বিজেপির সভাপতি ও বিধায়ক অমর নাথ শাখার দাবি, এটা ব্যর্থতা নয়, প্রথম পর্যায়ে নাম না থাকলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকায় নাম থাকবে বিষ্ণপুরের। তালিকায় তো রাজ্যের অনেক স্টেশন রয়েছে। আজ হয়নি আগামী দিনে নিশ্চয় হবে, আশ্বাস বিজেপি বিধায়কের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 12 =