গত ৩০ বছরে ৩০-র বেশি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা দেখেছে নেপাল। কখনও মাঝ আকাশে বিমানে আগুন কখনও বা অবতরণের সময় গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়া। রানওয়ে ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাহাড়ের বুকে হারিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে এই নেপালেই। আর এই সব বিমান দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। পরপর এমন সব ঘটনায় এবার প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে, কেন বারবার নেপালেই ঘটছে এমন সব বিমান দুর্ঘটনা।
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, এই সব দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে মূলত তিনটি কারণ। প্রথমত, নেপালের ভূপ্রাকৃতিক গঠন। নেপালের অবস্থান সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ছয় হাজার মিটারের বেশি হওয়ায় এখানে বিমানে বিমান পরিষেবা দেওয়া খুবই কঠিন। এর মধ্যে আবার পোখরা বিমানবন্দরের কাছে হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ থাকায়, এখানে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। দ্বিতীয় কারণটি হল, কুয়াশা। কারণ, নেপাল প্রশাসনের দাবি, বিমান দুর্ঘটনার সিংহভাগই ঘটেছে কুয়াশার জেরে। শীতকালে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় অনেক সময়ই উড়ান সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে পাহাড়ের গায়ে। তৃতীয়ত, নেপালের অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, কাঠমান্ডুর আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ বিমান চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর জেরেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে সূত্রে যা খবর মিলছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রবিবার সকালে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে বিমানটি ভেঙে পড়ে তাতে আগুন ধরে মাঝ আকাশেই। সেই অবস্থায় জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হওয়া ওই বিমান রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়ে।