স্কুল-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা হয়েছিল। বর্ধিত ছুটির ফলে ছাত্রছাত্রীেদর ক্ষতি হবে এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন অভিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশ। সরকারের গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্তে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় এবার রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে রাজ্যের স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন মামালাকারীর পক্ষের আইনজীবী জানান, সরকার আবহাওয়াবিদ বা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পর পর দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির কথা জানিয়েছে।
যদিও এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন, এটা রাজ্যের শিক্ষা দাফতরের বিষয় হলেও ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পড়ুয়ারা। সে কারণেই এই ভাবনা। উল্লেখ্য, ২ মে থেকে রাজ্যের রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অতিরিক্ত গরমের কারণে কষ্ট হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাই রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়া যায় কিনা সেই ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করতে বলেন। তারপরই নোটিস জারি টানা ৪৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে শিক্ষা দফতর।
এই টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি দেওয়ার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আনন্দবরণ হালদার নামে এক ব্যক্তি। মামলকারীর বক্তব্য ছিল, করোনার কারণে এমনিতেই দুবছর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে সেগুলি খোলার পর আবারও ৪৫দিন হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হল।