অগ্নিমিত্রা পল আসানসোল নিজের মেয়েকে চাই স্লোগানটি নকল করেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হয়ে জেতার পর এক বছর ধরে আসানসোলের মেয়েকে আসানসোল পায়নি। এমনকী করোনার সময় এবং বন্যার সময়ও দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। এখন আবার তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে চলে এসেছেন। নিজেকে আসানসোলের মেয়ে বলার দরকার কি? এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে আসানসোল রবীন্দ্রভবনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস ও বঙ্গজননীর পক্ষ থেকে এক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হার স্ত্রী পুনম সিন্হা, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মিনতি হাজরা, বঙ্গজননী জেলা সভানেত্রী আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, শত্রুঘ্ন সিন্হা এর আগে দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি চার বারের সাংসদ। বিজেপি চালিত কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি উপলব্ধি করেই তিনি দলত্যাগ করেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। এদিনের সভায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি চিহ্ন নিয়ে জেতার পর এক বছর ধরে আসানসোলের মেয়েকে আসানসোলবাসী পায়নি। করোনার সময় এবং বন্যার সময়ও তার দেখা পাওয়া যায়নি। এখন আবার তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে নিজেকে আসানসোলের মেয়ে বলছেন, কি দরকার? কাজেই তো তা প্রমাণিত হয়ে যায়। ‘অব কি বার দু’শো পার’ স্লোগান দিয়ে বিজেপি বাংলা দখল করতে এসেছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ তা হতে দেয়নি। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা সবার পাশে থাকবেন। তিনি পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে সমস্ত মহিলাদের অবগত করে বলেন, এর বিরুদ্ধে অবশ্যই সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। আসানসোলে উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তন হবে না কিন্তু, এতদিন যে উন্নয়ন থমকে ছিল তা আবার গতি পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করতে ও আসানসোলের সমস্যা সংসদে নিয়ে যেতে হলে মহিলাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়েদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সবদিক থেকে সম্মান দিয়েছেন। এখন আর মেয়েদের বোঝা বলে কেউ মনে করে না।