কলকাতা: আত্মীয়, ঘনিষ্ঠদের নামেও জমি-ব্যবসা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি! এর উৎস কী সিবিআই-এর জেরায় প্রায় সমস্ত প্রশ্নের উত্তরেই অনুব্রত মণ্ডল নিশ্চুপ। সূত্রের খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কোন কোন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। সিবিআই-এর একটি সূত্রের দাবি, সায়গল ও এনামুলের থেকে ওই টিমের কয়েকজনের নাম তাঁদের কাছে এসেছে। তাঁদের উপর ‘নজরদারি’র কাজ চলছে। টিমে আর কারা রয়েছেন, তাঁদেরও খোঁজ চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে, সূত্র মারফত্ জানা যাচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেষ্ট। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
সূত্রের খবর, অগাধ সম্পত্তির মালিক অনুব্রত মণ্ডল। গোরু পাচার থেকেই মোটা টাকা এসেছে? আয়ের উৎসগুলোরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচারের ‘প্রোটেকশন মানি’ ঘনিষ্ঠদের কাছেও রাখতেন কেষ্ট। নিজের সম্পত্তি কম দেখানোর জন্য একাধিক জায়গায় টাকা ভাগ করে দেওয়া হত। সম্প্রতি, বীরভূম-সহ ১৩ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাতে ১৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলে জানাচ্ছে সিবিআই।
মঙ্গলবার কম্যান্ড হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। সূত্রের খবর, ধৃত সায়গল হোসেনকে কেবলমাত্র তাঁর দেহরক্ষী হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন অনুব্রত। তিনি গোরু কিংবা কয়লাপাচারের সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানা ছিল না বলেই মন্তব্য করেছেন অনুব্রত।
সূত্রের খবর, এএনএম অ্যাগ্রোচেন ফুডস ও নীড় ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাদু’টি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের নামে রয়েছে। এই দুই সংস্থার নামে কোটি কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। সেই টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় অনুব্রতর কাছে। গোরু পাচার মামলায় ধৃত মূল অভিযুক্ত এনামুল হকই এই টাকার লেনদেন করত বলে অনুমান সিবিআই-এর।প্রসঙ্গত, অনুব্রতর মেয়ের নামে আরও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বোলপুরের গয়েশপুর মৌজায় পাঁচ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সব সম্পত্তিগুলিই কেনা হয় ২০১৫ সালে মার্চ থেকে অক্টোবরের মধ্যে। কোন টাকায় সেই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, তার হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।