জেল থেকে বেরলে মিলবে বীরের সম্মান, খোশমেজাজে অনুব্রত

বুবুন মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: একদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা পেয়েছেন। আর তাতেই আরও চাঙা বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। অর্থাৎ দিদি পাশে আছেন। জেল থেকে বেরলে বীরের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছেন দিদি। এমন প্রশংসায় অনুব্রত মণ্ডলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ অনেকটাই স্বাভাবিক। শুক্রবার সকালে তাঁর কথাবার্তা শুনে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বাম আমলে ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে একটি বোমা বিস্ফোরণের মামলায় আসানসোল সংশোধনাগার থেকে শুক্রবার সকালে বিধাননগর আদালতের এমপি এমএলএ কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। পরে বিকেলে তাঁকে আবার বিধাননগর আদালত থেকে ফিরিয়ে আনা হয় আসানসোল সংশোধনাগারে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল গত ২৪ অগস্ট থেকে আসানসোল জেলে রয়েছেন।
এদিন সকাল ঠিক পৌনে সাতটা নাগাদ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তাঁকে নিয়ে তিনটি গাড়ির কনভয় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় আসানসোল জেল থেকে। দু’বারই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর ছোট করে হলেও দিয়েছেন।
এদিন সাত সকালেই অনুব্রতকে দেখতে জেলের বাইরে উৎসুক কিছু মহিলার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা কেউ কেউ বলেন, এতদিন টিভির পর্দায় দেখে এসেছি অনুব্রত মণ্ডলকে। তাই সামনে থেকে চাক্ষুষ দেখতেই দাঁড়িয়ে রয়েছি সবাই। আমাদের দেবতা গরু। সেই গরু পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে আমরা দেখতে এসেছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না। জেলে এলে মানুষ ছাড়াও পায়। আমিও ছাড়া পাব।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, দিদি বলেছেন, এটাই যথেষ্ট।
বিধাননগর আদালতের এমপি এমএলএ কোর্ট এদিন মঙ্গলকোটের মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সহ ১৪ জনকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দেন বিচারক। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ যখন তিনি আবার আসানসোলের সংশোধনাগারে ঢুকছিলেন, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোনও অন্যায় করিনি। তাই বেকসুর খালাস। এরপর তিনি গেট দিয়ে জেলে ঢুকে যান।
অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া ও আসাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগরের মূল ফটকের বাইরে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল জেল চত্বরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + four =