বিশ্বজুড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা স্তব্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা

প্রায় দু’ঘণ্টা স্তব্ধ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রায় দু’ঘণ্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর দুপুর ২টো ২০ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। তবে পুরো স্বাভাবিক হয়নি। পুরো পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে সূত্রের খবর। কী কারণে এই সমস্যা তা এখনও জানানো হয়নি হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা-র পক্ষ থেকে। তবে আড়াই ঘণ্টা ধরে মেটার মেসেজিং অ্যাপ আচমকা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই বিভ্রাটের পিছনে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে বন্ধ হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১১ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপর গোলযোগের কথা জানান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকে অভিযোগ। অনেকেই জানান, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তা পৌঁছচ্ছে না। কেউ আবার বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ‘সিঙ্গল টিক’ থেকে ‘ডবল টিক’ হচ্ছে না। তবে সার্বিক ভাবে যে বার্তা আদান-প্রদানে বড় রকমের সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা, তা স্পষ্ট ছিল। কেন এমন হচ্ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও মেটার তরফে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ব্যবহারকারীদের। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে অবশ্য লেগে গেল প্রায় দু’টি ঘণ্টা। সূত্রের খবর, ১ ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট সাতচল্লিশ সেকেন্ড পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা।

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে না জানাতে তৈরি হয়ে গিয়েছে অজস্র ব্যঙ্গচিত্রও। এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন হতেই টুইটারে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা মিমের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে ট্রেন্ডিং হয়ে যায় #whatsappdown।

কিন্তু কী কারণে এই বিপত্তি, তা নিয়ে মুখ খোলেনি মেটা। যার জেরে ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। এ দেশের কোটি-কোটি সাইবার বিশেষজ্ঞরা হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সার্ভার হ্যাক করা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এধরনের ঘটনা ইউরোপে ঘটলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেটাকে বিবৃতি দিতে হত। ভারতে প্রায় ২ ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ ছিল, তাহলে কেন বিবৃতি দেওয়া হবে না? কী কারণে এই সমস্যা হল, তা নিয়ে মেটার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 1 =