এসএসকেএম-এ নার্সিং পড়ুয়ার  মৃত্যুতেও কি ‘ব়্যাগিং’! জল্পনা

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এসএসকেএম হাসপাতাল। হস্টেলে মিলল নার্সিং পড়ুয়ার দেহ। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুতে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে তার স্বপক্ষে প্রমাণও মিলেছে। এবার এসএসকেএম-এর ঘটনাতেও র‌্যাগিং -এর বিষয় ওড়ানো যায় না বললেন এসএসকেএম হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ অনিমা মাল। নতুন পড়ুয়াদের একটা ‘ইন্ট্রো পর্ব’ এখানেও হয় এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালের এক নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লিটন হস্টেলের শৌচালয়ে। এমনিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে সারা রাজ্য উত্তাল। তদন্তে উঠে আসছে নানা তথ্য, নানা তত্ত্ব। এর মধ্যে কেন ওই ছাত্রী এসএসকেএমে মারা গেলেন, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা ঘনিয়েছে। আদৌ আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এর মধ্যেই র‌্যাগিং-এর সম্ভাবনার কথা বললেন এসএসকেএমের গ্রেড টু নার্সিং অফিসার অনিমা মাল। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে ছিলাম, ইন্ট্রো-পর্ব একটা হয়েছিল। এখন ও সেকেন্ড ইয়ারের, ওর সঙ্গে কী হয়েছিল সেটা সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীরাই বলতে পারবে। আমি সকালে শুনলাম, কেন এমনটা হল এখনও জানতে পারিনি। তবে একটা সন্দেহ হচ্ছে। আমি শুনলাম শাওয়ার থেকে বডিটা ঝুলছিল। একটা শাওয়ারের কল এতটা ওজন নিতে পারে কিনা আমি জানি না।’
পাশাপাশি, ছাত্রীর কোনও মানসিক চাপ ছিল কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নার্সিং স্টুডেন্টদের সবসময় পড়াশোনার চাপ থাকেই। মেন্টাল হ্যারাসমেন্টও হয়ে থাকে। ওরও হয়তো মানসিক চাপ ছিল। ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্ট আমি বলতে পারছি না। তবে ও স্টুডেন্ট, আমি স্টাফ। কী হয়েছিল আমি এখনও বলতে পারি না।’

বুধবার রাত থেকে ওই ছাত্রী কোথায় ছিলেন, সেই প্রসঙ্গে অনিমা বলেন, ‘ছাত্রীরা রাতে হস্টেলেই থাকে, তাদের রাতে বেরোনোর অনুমতি থাকে না। বেশিরভাগই রাত জেগে পড়াশোনা করে, তখন কেউ খেয়াল করেনি হয়তো। আবার আটটা থেকে ডিউটি শুরু। তখনই খোঁজ পড়ে ওই মেয়েটির।’
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রী নার্সিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর নাম সুতপা কর্মকার, তিনি রায়গঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন, কলকাতায় পড়তে এসেছিলেন নার্সিং। থাকতেন কলকাতার লিটন হস্টেলে। বৃহস্পতির সকাল থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন সহ-পড়ুয়ারা। এর পরে হস্টেলের শৌচাগারের দরজা ভেঙে ভিতর থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সূত্রের খবর, উদ্ধারের সময় যাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা জনিয়েছেন, ওই ছাত্রী আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − three =