টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দিনই অঘটনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দু-বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক। পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে খাবি খেল টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা দল। পাপুয়া নিউ গিনির চোখ রাঙানি থেকে অবশেষে স্বস্তির জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্কোরবোর্ড বলছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে পাপুয়া নিউ গিনিকে। যদিও পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়তো হার দিয়েও বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হতে পারত। রান তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ালেন রস্টন চেজ ও আন্দ্রে রাসেল।
বিশ্বকাপের দুই আয়োজকই জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল। উদ্বোধনী ম্যাচে জিতেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতল আর এক আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোম গ্রাউন্ডে ম্যাচ। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডিং নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সকালের ম্যাচ বলেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। সেসে বাউয়ের (৫০) হাফসেঞ্চুরি এবং কিপলিন ডোরিগার ১৮ বলে ২৭ রানের ক্যামিও। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৬ রান করে পাপুয়া নিউ গিনি।
বোর্ডে মাত্র ১৩৭ রানের টার্গেট হলেও প্রবল চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জনসন চার্লসের উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। কয়েক বলের ব্যবধানে আরও একটি উইকেটের সম্ভাবনা ছিল। পিএনজির মতো দলগুলি ডিআরএস নিয়ে ততটা সচেতন নয়। ডিআরএস নিলে দ্রুতই দ্বিতীয় উইকেট পেত। ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছিলেন। তবে ১৬ ওভারের মধ্যে ৯৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচে টিকে থাকে পাপুয়া নিউ গিনি।
রস্টন চেজই যেন পার্থক্য গড়ে দেন। মাত্র ২৭ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস এই অলরাউন্ডারের। বল হাতে ভরসা দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। সদ্য কেকেআর জার্সিতে আইপিএল জেতা রাসেল ২ উইকেট নেন। তেমনই রান তাড়ায় চাপের মুখে ৯ বলে ১৫ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।