মহার্ঘ্য ভাতা ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনের পথে হাঁটছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আইনি পথেও তাঁরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেছেন রাজ্য সরকারের সামনে। আইনি পথে হাঁটার অর্থ, শাসক দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। এই মামলার জল গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের রায় গিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত বছর ২০ মে নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এরপই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন জানিয়ে ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে তা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এদিকে আদালতের নির্ধারণ করে দেওয়া তিন মাসের মধ্যে যেহেতু রাজ্য এই অর্থ মেটায়নি সেই কারণে আবমাননার অভিযোগ তুলে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।এরপর ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। আর তার শুনানি ২০২৩-এ।
এদিকে ডিএ আদায়ে এবার রাজ্যের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি।এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল জানান, রবিবার তাঁদের রাজ্য কমিটির সভা রয়েছে। আর এই সভাতেই জেলার লোকজনদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।এখানেই আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে তাঁরা যে কোনও কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন না সে ব্যাপারেও আশ্বাস্ত করেন তাঁরা। এর পাশাপাশি দেবাশিসবাবুর সংযোজন, ওয়াই চ্যানেলে একটি অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছেন। সমস্ত সংগঠনগুলিকেও আহ্বান জানানো হয়েছে এই কর্মসূচিতে। এক্ষেত্রে বাম-ডান সংগঠনগুলিকে আলাদা রাখার প্রশ্ন নেই বলেও জানান তিনি। কারণ এই মহার্ঘ্য বাতা বা ডিএ -ইস্যুতে এককভাবে লড়তে হবে বলেই মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি, ভবিষ্যতে যদি রাজ্য দেওয়ার জন্য সদর্থক ভূমিকা পালন না করে সেক্ষেত্রে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারেন তাঁরা।
West Bengal DA Update : DA নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, দুই বাঙালি বিচারপতির হাতে ভাগ্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের
অন্যদিকে, ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে দেবপ্রিয় হালদার বলেন, “২৭ জানুয়ারির আমরা গণছুটির ডাক দিয়েছি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কলকাতা পুরসভার কাছে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলেছি। একাধিক সংগঠন যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে।” উল্লেখ্য, DA নিয়ে রাজ্যের সদর্থক মনোভাব রয়েছে এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়াকেও। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের অভিযোগ তোলেন তিনি। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য একটি বড় অংকের অর্থ আটকে রেখেছে। একপ্রকার ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ চালাচ্ছে কেন্দ্র, এই অভিযোগও শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে।