‘১৪৪ ধারা ভাঙা হয়েছে’, কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নিশানা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের

কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে ফের একবার তরজায় জড়াল রাজ্য ও কেন্দ্র শিশু সুরক্ষা কমিশন।
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় দুই কমিশনের মধ্যে বাকযুদ্ধ, আর তা চলে টুইটের মাধ্যমেই। এই পরিস্থিতিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন বিদ্ধ করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে। এদিন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন অর্থাৎ এনসিপিসিআর-এর সদস্যরা ১৪৪ ধারা আইন ভঙ্গ করেছেন। পাশাপাশি রাজ্য কমিশনের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, তাঁরা মনে করছেন, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে এ অভিযোগও করা হয় যে, তাঁরা দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করে বসে থাকার পরও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো সেখানে আসনেনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্য কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় জানান, ‘উনি আসতে চান না। আমরা বারবার ফোন করলেও আসবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।’
এরই রেশ ধরে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় জানান, ‘আমাদের কাছে শিশু সুরক্ষার বিষয়টি সব থেকে বড়। ওই ছাত্রীর পরিবারের গুরত্ব বেশি। সেই কারণে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে আমরা বিরত থেকেছি। আমরা চাই পরিবারের দাবি অনুযায়ী তদন্ত হোক এবং দোষী যেন শাস্তি পায়।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমরা এখনও গোটা বিষয়টি জানি না। তদন্ত হতে দিতে হবে। কোনওভাবে ছাত্রীর পরিবারের কোনও কষ্ট না হয়, সেই কারণে আমরা আজ ওখানে যেতে চাইনি। পরিবার জানিয়েছে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর সেখানে যেতে। আমরা জাতীয় কমিশনের সাহায্য চাইছি।’
এদিকে মহিলা কমিশনের উপদেষ্টা অন্যান্য চক্রবর্তী জানান, ‘অনেকেই বলছেন মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। কমিশন হোক বা সংবাদমাধ্যম, যারা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, তাদের সকলকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। সব কমিশনেরই রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা উচিত।’ এদিকে দুই কমিশনের মধ্যে যে বাকযুদ্ধ শুরু হয় সেই প্রসঙ্গে সুদেষ্ণা রায় জানান, ‘ওদের কাজে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা সবরকমভাবে কথা বলতে রাজি এবং সবরমকভাবে সহযোগিতা করতে রাজি। যমজ ভাইবোনের মতো কাজ করব। আমরা শিশু সুরক্ষা কমিশন হিসেবে এসেছি। ওই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আমরা এসেছি। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আমরা বুঝেছি যে তাঁরা মারাত্মক শোকের মধ্যে রয়েছেন। আমরা কোনও ধরনের অশান্তি চাই না।’
ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই তিনি সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =