নিজস্ব প্রতিবেবদন: জলের অপচয় রুখতে এবার কঠোর আইন প্রণয়ন করবে রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। একইসঙ্গে, জন প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন তাঁদের এলাকার সাধারণ মানুষকে জলের অপচয় বন্ধ করতে আবেদন করেন। এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর ™র্বে পুলক রায় বলেন, ‘জলের অপচয় বন্ধ করতে বিধানসভায় আমরা বিল এনে আইন প্রণয়ন করাবো।’ পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী জানান, ২০২৫-এর মধ্যে সারা বাংলায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
প্রসঙ্গত, জলের অপচয় বন্ধ করে এর আগে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জলের মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ঋণের কোটি টাকায় জলের চাপ পরিমাপের জন্য এবং অপব্যয় রুখতে বসানো হয়েছিল এই মিটার। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্ট। ১০৭, ১০৮, ১০১ ও ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ১০ হাজারের বেশি বাড়িতে এই মিটার বসানো হয়েছিল।
এদিন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির অভিযোগ খারিজ করে মন্ত্রী দাবি করেন, বাড়িতে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ তৃণমূলের লোকেরা করেন না, ইঞ্জিনিয়াররা করেন। মন্ত্রী জানান, সুনির্দিষ্টভাবে বাড়ি গুলোর নাম জানালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিকে, এই রাজ্যের ৮টি জেলার ৮৩টি ব্লক আর্সেনিক দূষণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৭ জেলার ৪৩ টি ব্লককে ফ্লোরাইড প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী। সে কারণেই ভূগর্ভস্থ জল তোলার ব্যাপারে নলকূপ বসানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের এক অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, জাপানি ব্যাংকের সাহায্যে খরা প্রবণ পুরুলিয়া জেলার পাঁচটি ব্লকে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতায় জল প্রকল্পের কাজ চলছে এই চারটি জেলায়-বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলাতে। পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি প্রতি মুহুর্তেই জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে রাজ্য জুড়ে। এ জন্য মোট ২১৭ টি ল্যাবরেটরি রয়েছে।