কলকাতা: রাজ্যের জলপথকে পরিবহণ ক্ষেত্রে আরও কার্যকর করে তোলার ভাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনেকদিনের। এজন্য নতুন জেটি, পরিবেশবান্ধব দ্রুতগামী জলযানে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই শীতেই গঙ্গাবক্ষে নামছে দূষণহীন ২২টি নয়া জলযান। ৮০ ও ১০০ আসন বিশিষ্ট এই ভেসেলগুলো ঘাট পারাপার করবে।
সূত্রের খবর, ভেসেলগুলোর নামকরণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি নতুন তৈরি হওয়া ৯টি অত্যাধুনিক জেটির-ও উদ্বোধন হবে একসঙ্গে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, নতুন এই ভেসেলগুলোতে থাকছে বায়ো টয়লেটও। তাছাড়া এমনভাবে এগুলো বানানো হয়েছে তা থেকে কোনওভাবেই জল দূষিত হবে না। যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটা জায়গায়। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা যাবে।বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় জলপরিবহণকে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। এই জলযানগুলো কেনা তারই অঙ্গ।
প্রসঙ্গত, জলপরিবহণে জোর দেওয়ার কারণ হল, এর ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার শহর ও শহরতলিতে যাতায়াতের বিকল্প সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে রাস্তাঘাটে গাড়ির চাপ একটু কমলে, তাতে যানজট সমস্যার সমাধান হবে। মানুষের কাছে যোগাযোগের বিকল্প উপায় তৈরি হবে।গাড়ির চাপ কমলে, দূষণে রাশ টানা যাবে।জানা গিয়েছ, ভবিষ্যতে ই ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোরও কথাও হচ্ছে।
এছাড়া সাজছে জেটিও। আপাতত গৌড়হাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলা-র মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। বসেছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নূরপুর পর্যন্ত জায়গার মধ্যে নতুন ভেসেলগুলি বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে চলাচল করবে। একেকটি জলযান কিনতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা করে। মোট ২০০ কোটি টাকা এই খাতে খরচ করা হবে বলে জানান দপ্তরের কর্তারা।
তাঁদের কথায়, যে ভেসেলগুলো এখন চলছে সেগুলোর নামও মুখ্যমন্ত্রীরই দেওয়া। আর এবার বাকি যেগুলো গঙ্গায় নতুন নামবে, সেগুলোর নাম ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে এলাকায় এই ভেসেলগুলো চলবে নামকরণের ক্ষেত্রে সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির কথাও মাথায় রাখা যাবে। যে ফেরিঘাটগুলোর আধুনিকীকরণ হচ্ছে, সেগুলোতে বসবে স্মার্টকার্ড গেট।