১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আর তৃণমূল যুব সভাপতির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

তৃণমূলের ঘরের ঝামেলা এবার চলে এল প্রকাশ্যে। কলকাতার রাস্তায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে সজোরে চড় মারতে দেখা গেল তৃণমূল যুব সভাপতিকে। ঘটনাস্থল, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার। তাঁরই হতে চড় খেতে হল ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পড়েই সুনন্দাকে কার্যত কেদারের দিকে তেড়ে ছুটে গিয়ে চড় মারতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। এদিকে শ্যামপুকুর বিধানসভার অন্তর্গত এই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কানাঘুষো শোনা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক শশী পাঁজা ঘনিষ্ঠ এই যুবনেতা কেদার দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল করেন। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যস্ত করেছেন শশী। এদিকে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে সুনন্দার। তবে মঙ্গলবারের এই ঘটনা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে যয়া। এদিকে সবে চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ের পর খাস কলকাতায় তৃণমূলের দুই নেতার এহেন ঝামেলা দলকে কার্যত অস্বস্তিতেই ফেলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রে এ খবরও মিলছে, সুনন্দা সরকারকে নিয়ে এই অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগেও কেদার দাসরা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিলেন। পাল্টা সুনন্দার দাবি তাঁকে ফ্যাসাদে ফেলতেই এই ধরনের অভিযোগ করেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা।

এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেদার জানান, ‘এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার এই সব বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি। এরপরই দুপুর নাগাদ কাউন্সিলর আমায় ফেলে মেরেছে।’ অপরদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এই আচরণ প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টা দেখতে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =