চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ভারত-পাকিস্তান। মনে পড়ে ২০১৭ সালের কথা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল বিরাট কোহলির ভারত। ফাইনালেও প্রতিপক্ষ ছিল সেই পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে হারালেও ফাইনালে ভারতের টপ অর্ডারে বিপর্যয়। রবীন্দ্র জাডেজাকে নিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ‘তরুণ’ হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ব্যাটিংয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিল ভারতীয় শিবির। কিন্তু একটা ভুলবোঝাবুঝিতে রান আউট জাডেজা। রানার্স হয়েছিল ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে আবারও দেখা। এবার অবশ্য ফাইনাল কিংবা প্রথম ম্যাচ নয়।
টুর্নামেন্টের ফরম্যাট খুবই কঠিন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ভারত। দুবাইয়ে মহারণ জিতলে সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত। বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড ম্যাচ যেহেতু বাকি, সে কারণেই কার্যত লিখতে হচ্ছে। ভারতের কাছে এই ম্যাচ যেমন সেমিফাইনালে যাওয়ার তার চেয়েও বেশি আবেগ-মর্যাদা এবং অবশ্যই বদলার। আর হার্দিক পান্ডিয়ায়র যেন অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ করার।
পাকিস্তান ম্যাচে বরাবরই জ্বলে ওঠেন বিরাট কোহলি। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দুটি ওডিআই খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। শেষ ওয়ান ডে-তে হাফসেঞ্চুরিও করেন বিরাট। কিন্তু আউট হন সেই লেগস্পিনার আদিল রশিদের বোলিংয়েই। এমনকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গত ম্যাচেও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বোলিংয়ে।
পাকিস্তান টিমেও লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ রয়েছেন। এই ম্যাচের আগে বিরাট কোহলিকে অন্য মেজাজে দেখা গেল। আগে ভাগেই প্র্যাক্টিসে এসেছিলেন। টিমের সঙ্গেও যখন প্র্যাক্টিস করেছেন, স্পিনের বিরুদ্ধে প্রচুর সুইপ খেলতে দেখা গিয়েছে। বিরাট কোহলি সাধারণত সুইপ ততটা খেলেন না। পাকিস্তান ম্যাচে যে পারফর্ম করতে কতটা উদগ্রীব, এই সুইপ অনুশীলনই যেন তার অন্যতম প্রমাণ।
দুবাইয়ে প্রথম ম্যাচে মন্থর পিচ ছিল। ব্যাটারদের শট খেলতে সমস্যা হয়েছে। পিচের চরিত্র একই থাকবে কি না সেটাই প্রশ্ন। আর ভারতীয় শিবিরে একটাই ধোঁয়াশা থাকছে, উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে কুলদীপ যাদবকে বসানো হবে! সম্ভাবনা কম। আবার বরুণ চক্রবর্তী যে ছন্দে ছিলেন, তাঁকে খেলানোর একটা ভাবনা থাকতেই পারে।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি, হর্ষিত রানা/অর্শদীপ সিং।