রাশিয়ার অন্দরেই শুরু হয়েছে চরম সঙ্কট। দেশের সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ওয়াগনার বাহিনী। রাশিয়ানদের আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহে যোগ দেওয়ার। কেউ প্রতিরোধ করতে আসলে, তাদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টও। ‘বিশ্বাসঘাতকে’র তকমা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট দমনের হুঁশিয়ারি দিতেই, এবার আরও বড় হুমকি দিল ওয়াগনার বাহিনী। এতক্ষণ যে বিদ্রোহ শুধুমাত্র রুশ সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে চলছিল, এবার তাতে নাম জুড়ল প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও। সরাসরি ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিল তাঁরই ভাড়াটে সশস্ত্র বাহিনী ওয়াগনার।
ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে এ বার রাশিয়া ভূখণ্ডে বড় অভিযান চালাল বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী। রুশ ধনকুবের ব্যবসায়ী অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মালিকানাধীন ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী শনিবার ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ দখল করেছে বলে কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি।
ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন শনিবার অডিও-বার্তায় দাবি করেছেন, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উদ্দেশে তাঁদের অভিযান চলবে। যদিও ওয়াগনার যোদ্ধারা সত্যিই ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও রুশ সরকার কিছু জানায়নি। খবর সত্যি হলে ইউক্রেনে মোতায়েন কয়েক লক্ষ রুশ সেনা বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।
এর আগে শুক্রবার ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নিয়েছিল ওয়াগনার বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার জাতীয় উদ্দেশে ভাষণে বলেন, ‘ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন এক জন বিশ্বাসঘাতক। তার বাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ায় অত্যাচার চালাচ্ছে। যথাসময়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’