শনিবার তাইওয়ানে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। যার দিকে চোখ রয়েছে বিশ্বের। এই নির্বাচনে চিনের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। বিশ্লেষকদের মতে, তাইপেইতে নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্ট চাইছে বেজিং। ‘বিপদ’ আঁচ করতে পেরে কমিউনিস্ট দেশটিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা! স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্বাচনকে ঘিরে ওয়াকিবহাল মহলে প্রবল উত্তেজনার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। চিন এই ভোটকে যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে নির্বাচন হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। ইওয়ানের বর্তমান শাসকদল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি। প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এই দলটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে বেজিং। যদিও ওয়েন এবার ভোটে দাঁড়াতে পারেননি। কেননা পর পর দু’বার তিনি প্রেসিডেন্ট থেকেছেন।
তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে ওরফে উইলিয়াম লাই। তাঁর সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চিন বার বার তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে তোপ দাগছে। এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রতিটি নাগরিককে ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লাই। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, প্রতিটি ভোট মূল্যবান। কেননা এই গণতন্ত্র অনেক কষ্টে অর্জন করেছে তাইওয়ান। এই পরিস্থিতিতে ভোটমুখী দ্বীপরাষ্ট্রে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে চিন, এমনই অভিযোগ। বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানের নির্বাচনে ওয়াশিংটন কোনও পক্ষ নেবে না। আবার ভোটপ্রক্রিয়ায় চিনের ‘দাদাগিরি’ ও মেনে নেবে না তারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল তাইওয়ানে। এবং তা সম্ভব হয়েছিল দশকের পর দশক ধরে চিনের কর্তৃত্ববাদ ও মার্শাল ল-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা দেশের সীমান্তরেখায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। কোনওভাবেই চিনের নজরদারি বেলুনকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।