বছর ২৫-এর রাজনীতা। সম্প্রতি আইটি সেক্টরে চাকরি পেয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে শুরুর দিন থেকেই বমি। ছোটবেলা থেকেই তার বমির ধাত। বড় হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এসেও এই বমির জন্য কী বিড়ম্বনা।
এমন সমস্যা কম-বেশি সকলেরই থাকে। ছোটদের তো বটেই, বড়দেরও। কাজের প্রয়োজন হোক বা বেড়ানো কয়েক ঘণ্টা গাড়িতে বা বাসে যেতে হলে বিপদ। বিশেষত পাহাড়ি রাস্তায় আরও বাড়ে সমস্যা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এক্ষেত্রে কী করণীয়?
১. বমি হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় গা-বমি। তাই প্রথমেই যেটা খেয়াল রাখতে হবে ভরপেট খেয়ে ওঠা যাবে না। কোনও গুরুপাক খাবার খেয়েও গাড়িতে ওঠা নৈব নৈব চ। খালিপেট নয়, শুকনো মুড়ি বা বিস্কুট বা কোনও হাল্কা সহজপাচ্য খাবার খেয়ে গাড়িতে উঠবেন।
২. গাড়িতে উঠলেই অনেকের যে শরীর খারাপ হয়, সেটাকে বলে মোশন সিকনেস। গাড়িতে অবশ্যই জানলার ধারে বসবেন। আর চোখ সোজা রাখবেন। বাঁ দিক-ডান দিক নয়। আর শরীর খারাপ করলে চোখ বুঁজে থাকবেন। গভীর শ্বাস নিতে হবে। জানলার কাচ খুলে অবশ্যই হাওয়া আসতে দেবেন।
৩. বমি ভাব কাটাতে মুখে আদা বা লবঙ্গ রাখুন। সঙ্গে লেবু পাতা রাখতে পারেন। লেবু পাতার সুগন্ধ শরীরে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
৪. চেষ্টা করুন বমির প্রবণতা থাকলে গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পড়ার। বমির ওষুধ খেতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ মেনে। তবে ওষুধ গাড়িতে ওঠার অন্তত আধঘণ্টা আগে খেয়ে নেবেন। কারণ, ওষুধ কাজ করতেও সময় নেয়।
৫. বেশি শরীর খারাপ করলে গাড়ি থামিয়ে কিছুক্ষণ খোলা হাওয়ায় বসুন বা হাঁটুন। এটা কিন্তু ম্যাজিকাল রেমেডি। বিশেষত পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে।