স্কুলবাস অথবা পুলকারে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। তারমধ্যেই নবতম সংযোজন হতে চলেছে এই স্কুল ভিএলটিডি অ্যাপ চালু। প্রত্যেক বানিজ্যিক গাড়িতে এমনিতেই ভিএলটিডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার সাহায্যে গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায়। প্রায় হাজার পঞ্চাশেক গাড়িতে বসানোও হয়েছে। যা গোটা দেশে সবথেকে বেশি। এবার স্কুল পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে এবার স্কুল ভিএলটিডি বা ভেহিকেল লোকেশান ট্র্যাকিং ডিভাইস অ্যাপ চালু করতে চলেছে পরিবহন দফতর। এই ডিভাইসের সুবিধা হল বাড়ি থেকেই অভিভাবকেরা পুলকার অথবা স্কুলবাসের অবস্থান সহজেই জানতে পারবেন। ফলে কারও স্কুল থেকে আসতে দেরি হলে, বা গাড়ি আসতে দেরি করলেও দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না তাঁদের। একইসঙ্গে পরিবহন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপটি প্রত্যেক স্কুলকে দেওয়া হবে। সেখানে সমস্ত স্কুলবাসের তথ্য থাকবে। অভিভাবকদেরও ওই অ্যাপটি স্কুলের তরফে দিয়ে দেওয়া হবে। যাতে যে গাড়িতে তাঁদের সন্তান রয়েছে, সেই গাড়ির নম্বর দিয়ে গাড়ির অবস্থান জানতে পারেন অভিভাবকরা। অ্যাপটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
এর পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাস থেকে স্কুলবাসে লাগানো হচ্ছে প্যানিক বোতাম। যাতে কেউ বিপদে পড়লে ওই বোতাম টিপলে তা জানতে পারে পুলিশ এবং পরিবহন দফতরের কর্তারা। সেইমতো নেওয়া যায় ব্যবস্থাও। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি পুলকার দুর্ঘটনা ঘটেছে শহরে। তাতে কয়েকজন পড়ুয়া জখমও হয়েছে। স্কুলবাস এবং পুলকারে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে তাই একাধিক পদক্ষেপের কথা ভাবা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নয়া এই অ্যাপ প্রাথমিকভাবে শহরের স্কুলগুলোতে দেওয়া হবে। তারা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের এই অ্যাপ দেবেন নিজেদের স্কুলের নাম দিয়ে। নয়া এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে স্কুলবাস এবং পুলকার সংগঠনগুলিও।
এই প্রসঙ্গে পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে,পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় একাধিক সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। এবার এরকম অ্যাপ আসে তা পড়ুয়াদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। নিশ্চিন্ত থাকবেন অভিভাবকেরাও।