নিজস্ব প্রতিবেদন, কাটোয়া: প্রতি বছরের মতো এবছরও চলন্ত ট্রেনেই হল বিশ্বকর্মা পুজো। ডাউন কাটোয়া লোকাল ভোর পাঁচটা চল্লিশে কাটোয়া ছাড়ে, হাওড়ায় ঢোকে আটটা পঁয়তাল্লিশে। সেই ট্রেন সকাল আটটায় ব্যান্ডেল থেকে ছাড়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে। কাটোয়া থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার যাত্রাপথে নানা ঘটনার সাক্ষী থাকেন নিত্য যাত্রীরা। প্রতিদিন ট্রেনে করে কর্মস্থলে পৌঁছন তাঁরা। আবার দেখা হয় পরদিন একই সময়। বয়সের বাধা পেরিয়ে একটা অন্যরকম বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ট্রেনেই অনেকের মধ্যে। সেই ট্রেনের চার নম্বর কামরার নিত্য যাত্রীরা মূর্তি এনে ট্রেনের কামরার ভিতরেই পুজো করছেন গত কয়েক বছর ধরে। করোনার জন্য ট্রেন বন্ধ থাকায় হয়নি সেই পুজো। রীতিমতো ঢাকঢোল কাঁসর বাজিয়ে পুরোহিততের মন্ত্রোচ্চারণে এবছর হল যন্ত্রের দেবতার পুজো। আর পুজো শেষে প্রসাদ মিষ্টির প্যাকেট ছিল সব যাত্রীদের জন্য।
নবদ্বীপের নিত্য যাত্রী সৈকত পাল জানান, একই কামরায় গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বকর্মা পুজো করছেন তাঁরা। গত দু’বছর পুজো হয়নি। তাই এবার পুজোর আয়োজন। আগামী দিনে আরও জাঁকজমক ভাবে পুজোর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁদের এই পুজোর জন্য কারও কোনও অসুবিধা হয় না বলেই দাবি। সব যাত্রীরা খুব আনন্দ করেন। এবারও ঢাকঢোল নিয়ে পুজো হয়। সবাইকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই ট্রেনের পাঁচ নম্বর কামরাতেও হয় বিশ্বকর্মা পুজো।