ক্রমশ তেতে উঠছে ময়দান। গরম হয়ে উঠছে দলবদলের বাজার। এখনও মরসুম শেষ হয়নি। তার আগেই জোর আলোচনা কেরলের উঠতি তারকা পিভি বিষ্ণুকে নিয়ে। তিনি নাকি লাল-হলুদ ছাড়তে চলেছেন। এই খবর তোলপাড় ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ফুটবল মহলে। লাল-হলুদ সমর্থকরা কিন্তু এই আকস্মিক খবরে চাপে পড়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই খবর ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় ফুটবল মহলে। অনেকেই একে গুজবও বলছে। কতটা সত্যি বিষ্ণুর ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার খবর?
২০২৩ সালে লাল-হলুদে সই করেন বিষ্ণু। ৩ বছরের চুক্তিতে সই করেছেন তিনি। ২০২৬ অবধি তাঁর চুক্তি রয়েছে লাল-হলুদের সঙ্গে। লাল-হলুদ কর্তারা ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করছেন। কিন্তু এখন অবধি ক্লাবের নতুন চুক্তিতে সই করেনি এই কেরলের স্ট্রাইকার। এতেই জল্পনা ছড়িয়েছে ময়দানে। তিনি নাকি মোহনবাগানে সই করবেন বলেই নতুন চুক্তিতে সই করছেন না। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি থাকার এক বছরে মধ্যে কোনও দলের প্লেয়ার যদি অন্য দলে সই করে, তাহলে ট্র্যান্সফার ফি দিয়ে ওই ফুটবলারকে নিতে হবে। বর্তমান ক্লাবের সঙ্গে যদি ছয় মাসের চুক্তি বাকি থাকলে তখনই অন্য দলের প্রাক চুক্তিতে সই করতে পারবেন। ফলে অন্য দলে সই করতে পারবেন না বিষ্ণু। মোহনবাগান যদি তাঁকে নিতে চায়, ট্রান্সফার ফি দিয়েই নিতে হবে।
গত মরসুমে আনোয়ার আলিকে মোহনবাগান থেকে তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার জল এআইএফএফ থেকে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনও পুরো বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। বিষ্ণুর ক্ষেত্রে মোহনবাগান ওই পথেই হাঁটবে কিনা, লাখ টাকার প্রশ্ন। এমনও শোনা যাচ্ছে, বিষ্ণুর কাছে আইএসেলের আরও দুই ক্লাবের অফার রয়েছে। এ বার দেখার বিষয় বিষ্ণু কোন পথে হাঁটেন।
কেরলের এই স্ট্রাইকার ২০২৩ সালে বিনো জর্জের হাত ধরে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। কলকাতা লিগ খেলেই ভারতীয় ফুটবলে নিজের নাম করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনূর্ধ্ব ২৩ ভারতীয় দলের হয়েও অভিষেক হয় পিভি বিষ্ণুর। ইতিমধ্যে লাল-হলুদের হয়ে খেলে ফেলছেন ৫৪টি ম্যাচ। ৫টি গোল ও ৫টি অ্যাসিস্ট রয়েছে পিভি বিষ্ণুর।