আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ময়াঙ্ক আগরওয়ালের পঞ্জাব কিংস মুখোমুখি হবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে নামার আগে ময়াঙ্কের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়ে রাখলেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। বীরু সাফ বলছেন যে, অধিনায়কত্বের চাপ পড়েছে ময়াঙ্কের ব্যাটিংয়ে। বীরু পঞ্জাব অধিনায়ককে ভুলে যেতে বললেন যে, তিনি দলের দায়িত্বে।
শেহওয়াগ এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ময়াঙ্ক কীভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ ওর টিমের বোলিং লাইন-আপ ভাল। যারা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকেই ময়াঙ্কের ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়েছে। গতবছরের তুলনায় ময়াঙ্কের ফর্ম পড়েছে চলতি বছর। ও গতবার ধারাবাহিক ছিল। ময়াঙ্ক ভুলে যাক যে ও ক্যাপ্টেন। নিজের ব্যাটিংয়ে ফোকাস করুক। ও শুধু খোলা মনে ব্যাট করুক কোনও চাপ না নিয়ে। এই ফরম্যাটে মারার ক্ষমতা প্রয়োজন। ওয়ানডে বা টেস্টে নয় টি-২০। এই ফর্ম্যাটে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হয়।” পঞ্জাব এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলে দু’টি ম্যাচ জিতেছে। একটি ম্যাচ হেরেছে ময়াঙ্ক অ্যান্ড কোং।
প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব এই মরশুমে আর কেএল রাহুলকে ধরে রাখেনি। পঞ্জাব এবার ময়ঙ্ক (১২ কোটি টাকা) ও অর্শদীপ সিংকে (৪ কোটি টাকা) রিটেন করেছিল। আইপিএল নিলামে সবচেয়ে বেশি টাকা (৭২ কোটি টাকা) ছিল তাদের পার্সে। ফলে দুর্দান্ত সব ক্রিকেটারদের দলে নিয়েছে প্রীতির ফ্র্যাঞ্চাইজি। এসেছেন কাগিসো রাবাদা, জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোন, শিখর ধাওয়ান ও শাহরুখ খানকে। বিগত ১৫ মরশুমে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মাত্র দু’বার প্লে-অফে গিয়েছিল পঞ্জাব। সপ্তম মরশুমে তারা রানার্স হয়। ২০১৪ থেকে পঞ্জাব আর প্লে-অফের মুখ দেখেনি। এবার দেখার তাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে কিনা!