বিরাটদের দিল্লি জয়, প্লে-অফের দৌড়ে রইল আরসিবি

প্রয়োজন ছিল জয়। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আর কোনও বিকল্প ছিল না আরসিবির সামনে। সঙ্গে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যও ছিল। নিজেদের প্রাথমিক লক্ষ্যে সফল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্লে-অফে যেতে পারবে কিনা, নিশ্চয়তা নেই। আশা রয়েছে, বলা যায়। এই ম্যাচের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেট রান রেট ছিল প্লাস ০.২১৭। দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ে ২ পয়েন্ট এবং নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিলেন বিরাটরা। ছাপিয়ে গেলেন দিল্লি-লখনউকে। পাঁচ নম্বরে উঠে এল আরসিবি।

প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৮৮ রানের টার্গেট দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম এবং পিচে এই স্কোর সুরক্ষিত নয়। দিল্লি ক্যাপিটালস টিমে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, অভিষেক পোড়েলের মতো বিধ্বংসী ওপোর ছিলেন। যদিও এই ম্যাচে অন্য সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। অভিষেক নয়, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নারকে ওপেনিংয়ে পাঠায় দিল্লি। যদিও এই পরিকল্পনা কাজে দেয়নি।

পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট তুলে নেয় আরসিবি। মনে হচ্ছিল, এখান থেকে ম্যাচ পুরোপুরি আরসিবির দখলে। যদিও শেই হোপ ও স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল জুটি ভরসা দেয়। অবশেষে জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন। স্লোয়ার ফুলটসে শেই হোপের উইকেট তুলে নেন। ত্রিস্তান স্টাবসের ইনিংসও দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। অক্ষর বল ট্যাপ করেছিলেন। রানের জন্য দৌড়ন স্টাবস। ক্যামেরন গ্রিন উল্টো প্রান্তে গিয়ে বল তুলে নন স্ট্রাইকারের দিকে উইকেট ভেঙে দেন।

মিডিয়াম পেসার রশিক দারকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান দিল্লি ক্যাপিটালস ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল। দিল্লি ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে রশিকের উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। শেষ ৩০ বলে ৬১ রান টার্গেট দাঁড়ায় দিল্লির। অক্ষর ছাড়া ভরসা দেওয়ার মতো বিকল্প নেই। সেই আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।

স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পরই অর্থাৎ ১৬তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের উইকেট নেন যশ দয়াল। শেষ ওভারের প্রথম বলেই কুলদীপকে বোল্ড করে দিল্লিকে অলআউট করেন যশ। ৪৭ রানের বড় জয় আরসিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =