সচিন তেন্ডুলকরের ওয়ান ডে সেঞ্চুরির রেকর্ড থেকে একধাপ পিছনে দাঁড়িয়ে। ঘরের মাঠে এই বিশ্বকাপেই সচিনকে টপকে যাবেন বিরাট কোহলি , সব মহলের বিশ্বাস। সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরিও করে ফেলতে পারেন। বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। একটা সেঞ্চুরি, ২টো হাফসেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। বিরাট বরাবরই রানমেশিন। সেই তাঁরই ব্যাটে কিনা বিরল ‘খরা’। যা কখনও দেখা যায়নি, তা-ই ঘটে গেল বিশ্বকাপের মঞ্চে। এমনকি এই বছর এমন শূন্যতার মধ্যে দিয়ে তিনি যাননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লখনউয়ে বিরাট আক্ষরিক অর্থে রেকর্ডই করলেন। ভারতীয় দল এই বিশ্বকাপে এখনও অপরাজিত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বিরাট। তারপর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাত্র ৫ রানের জন্য কিউয়িদের বিরুদ্ধে ওডিআই কেরিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন। পরপর দুই ম্যাচে অসাধারণ খেলার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্বাভাবিক ভাবেই কোহলিকে নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছিল। কিন্তু তাতে চরম হতাশ করলেন বিরাট। শুভমন গিল আউট হওয়ার পর বিরাট খেলেছিলেন ৯ বল। এরপর সপ্তম ওভারে ডেভিড উইলির পঞ্চম বলে স্টেপ আউট করে মেরেছিলেন বিরাট। কিন্তু মিড অফে কোহলির ক্যাচ তালুবন্দি করেন বেন স্টোকস। ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি দুই ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপে এই প্রথম বার শূন্যে আউট হলেন বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস যে মুহূর্তে বিরাট কোহলির ক্যাচ তালুবন্দি করেন, সেই সময় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ডেভিড উইলি। কারণ, তিনি জানতেই এক বিরাট গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে বিরাট হতাশা। যে ম্যাচই হোক বিরাট কোহলি প্যাভিলিয়নে ফেরা মানেই প্রতিপক্ষ দল অনেকটা স্বস্তি পায়। একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তিনি যখন ফেরেন তখন ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ২৭। এ বার দেখার শেষ অবধি লখনউতে কত রানে থামে ভারত।